এবার কোন্নগর পৌরসভার প্রাক্তন পৌরপ্রধান বাপ্পাদিত্য চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন স্থানীয় ফেরিঘাটের টেন্ডার প্রাপক শেখ হাফিসউদ্দিন। মঙ্গলবার তিনি অভিযোগ করেন, ২০১৬ সালে বিভিন্নভাবে তাঁদের সমবায়ের উপর চাপ তৈরি করে এবং গায়ের জোরে কিছু লোক ফেরিঘাটের দখল নিতে চায়। আর তা গোটাটাই হয়েছিল বাপ্পাদিত্য চট্টোপাধ্যায়ের মদতে। যার জের পরবর্তী সময় আদালতের দারস্থ হতে হয় তাঁদের সমবায়কে৷ দীর্ঘদিন ধরে মামলা চলার পর চলতি বছরের এপ্রিল মাসে আদালতের নির্দেশে প্রশাসনের সাহায্যে ফেরিঘাট ফিরে পান তাঁরা৷
কিন্তু তারপরেও সম্পূর্ণ সমস্যার সমাধান হয়নি। শেখ হাফিসউদ্দিন জানাচ্ছেন, এখন ঘাট পরিচালনা করতে গিয়ে প্রায় প্রতি মুহূর্তেই সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাঁদের। ২০১৬ সালের তাঁদের ফেরিঘাট থেকে উচ্ছেদ করার পর সরকারের রেভিনিউ, সরকারি লঞ্চের ভাড়া, কর্মচারিদের পিএফ, ইএসআই সহ বেশ কিছু ক্ষেত্রে বকেয়া রয়েছে ৷ এমনকী এই সময়ের মধ্যে ফেরি ঘাট থেকে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা তছরুপ হয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁর। এই বিষয়ে, রাজ্য সরকার এবং প্রসাশনের কাছে তাঁর আবেদন, ফেরিঘাট থেকে তছরুপ হয়ে যাওয়া সাড়ে তিন কোটি টাকা কোথায় এবং কাদের কাছে আছে তার সঠিক তদন্ত হোক ৷
এই বিষয় কোন্নগর পৌরসভার প্রাক্তন পৌরপ্রধান বাপ্পাদিত্য চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "ফেরিঘাটের টেন্ডার পরিবহণ দপ্তর কী ভাবে করলো জানি না৷ আমি মনে করি এই টেন্ডার দেওয়ার অধিকারী পৌরসভা৷ টাকা পয়সা তছরুপের বিষয় আমার কিছু জানা নেই৷" এখন দেখার কী এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কী পদক্ষেপ নেয় প্রশাসন।