কোচবিহার-কলকাতা বিমান চলাচল (Cooch Behar to Kolkata Flights) নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের (CM Mamata Banerjee)। শিলিগুড়িতে সরকারি পরিষেবা দেওয়ার অনুষ্ঠানে এই বিষয়ে সরব হন মমতা। সিঙ্গল ইঞ্জিনের বিমান চালানো নিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন। এনিয়ে ঝুঁকির কথাও মমতা তুলে ধরেন। আজই কোচবিহার-কলকাতার বিমান পরিষেবা (Cooch Behar Flight Service) চালু হয়েছে। যার জন্য সেজে উঠেছে কোচবিহার বিমানবন্দর (Cooch Behar Airport)। তবে, পরিষেবা চালু নিয়ে সকাল থেকেই রাজ্য-কেন্দ্র সংঘাত শুরু হয়ে যায়। বিমান বন্দর চালুতে কৃতিত্ব কার? তা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে।
আজ দুপুর ১টা ৪৫ মিনিট নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দর থেকে ৯ আসনের ছোট বিমান নামে কোচবিহারে। বিমানে বিজেপির পাঁচ বিধায়ক সুকুমার রায়, মালতি রাভা, মিহির গোস্বামী, সুশীল বর্মন ও নিখিল রঞ্জন দে কোচবিহারে আসেন। এই বিমানেই আসার কথা ছিল কোচবিহার পুরসভার তৃণমূল চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ সহ তৃণমূলের চার জনের। কিন্তু শেষ মুহুর্তে তাঁরা জানিয়ে দেন তাঁরা বিমানযাত্রা করবেন না। ফলে বিমানের চারটি আসন ফাঁকাই ছিল। বিকেলে ফিরতি বিমানে পাঁচজন সাধারণ যাত্রী কলকাতা রওনা হন। রবীন্দ্রনাথ ঘোষ আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এ কথা জানিয়েছিলেন যে অনিবার্য কারণবশত আগামিকালের কলকাতা-কোচবিহারের যাত্রাও বাতিল করা হল।
আরও পড়ুন: Cooch Behar Flight Service: কোচবিহার-কলকাতা বিমান চালুর আগেই সংঘাত, উদ্বোধনে থাকছে না TMC
রবীন্দ্রনাথের এই ঘোষণায় শোরগোল পরে যায়। শিলিগুড়িতে এনিয়ে মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'আমরা ডাবল ইঞ্জিন ফ্লাইট চাই। সিঙ্গল ইঞ্জিন ফ্লাইটে ঝুঁকি আছে। বিপদ হলে কে দায় নেবে? মানুষ বিপদে পড়লে আমরা ছেড়ে কথা বলব না। আমরা করব আর ওকা ঝান্ডা নাড়বে?'