
জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহার দাবি করেছে, পাকিস্তান ভিত্তিক সন্ত্রাসবাদী এই সংগঠনের মহিলা শাখা ৫ হাজার সদস্য নিয়োগ করেছে। যাদের ইতিমধ্যেই আত্মঘাতী মিশনের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়েছে। বহু মহিলাকেই এই মিশনের জন্য ধর্মান্তরিতও করা হয়েছে বলে খবর।
মাসুদ আজহারের বোন সাইদার নেতৃত্বে জামাত-উল-মোমিনাত নামে জইশের মহিলা শাখা তৈরির লক্ষ্য হল, সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর উপস্থিতি আরও জোরদার করা। মহিলাদের নিয়োগের মাদ্যমে এর সম্প্রসারণ করতে উদ্যত মাসুদ আজহার।
এই মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি নেতা সম্প্রতি একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে জামাত-উল-মোমিনাতের ক্রমশবর্ধমান বিস্তার সম্পর্কে জানায়। তার কথায়, সাম্প্রতিক সপ্তাহে ৫ হাজারেরও বেশি মহিলা এই জঙ্গি সংগঠনে যোগ দিয়েছে। নিয়োগ ও প্রশিক্ষণের সুবিধার্থে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের জেলা স্তরের সংগঠন প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছে মাসুদ।
মাসুদ আজহারের মতে, প্রতিটি জেলায় একজন মহিলা প্রধান বহা মুনতাজিমার নেতৃত্বে একটি অফিস থাকবে জইশের মহিলা উইংয়ের। সেখান থেকেই চলবে জিহাদের প্ল্যানিং।
ইন্ডিয়া টুডে-র রিপোর্ট অনুসারে, জইশ-ই-মহম্মদের মহিলা উইং জামাত-উল-মোমিনাতের আত্মপ্রকাশের কথা জানা গিয়েছিল। 'অপারেশন সিঁদুর'-এর সময়ে কার্যত নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া এই জঙ্গি গোষ্ঠীর পুনরায় ভারত বিরোধী নানা ছক কষার পরিকল্পনারও ইঙ্গিত মিলেছিল। প্রকাশ্যে এসেছে জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের একটি অডিও বার্তা। বাহওয়ালপুরের মার্কাজ উসমান-ও-আলি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর এই মাস্টারমাইন্ড নতুন প্ল্যান ছকছেন বলেই অনুমান করা হচ্ছে। অডিও বার্তায় মাসুজ আজহারকে বলতে শোনা গিয়েছে, 'আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, যে মহিলারা গোষ্ঠীতে যোগদান করবেন তারা মৃত্যুর পর সরাসরি স্বর্গে যাবেন।' ভারতীয় সেনা এবং মিডিয়াতে মহিলারা রয়েছেন, তাদের পাল্টা এবার জঙ্গি ব্রিগেডে মহিলা সদস্যদের যোগদান করার আহ্বান জানিয়েছেন মাসুদ আজহার।