পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলা নিয়ে ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। CBI তদন্তের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। তবে ডিভিশন বেঞ্চ সেই আর্জি খারিজ করে দেয়। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এবং বিচারপতি অপূর্ব সিন্হা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, তদন্তে এখনই আদালত নাক গলানে না। তবে পরবর্তী শুনানিতে ইডিকে মামলার কেস ডায়েরি নিয়ে আসতে হবে।
এর আগে কলকাতা হাইকোর্টের বিতারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে যায় রাজ্য। তবে তিনিও অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায় বহাল রাখেন। এরপর ডিভিশন বেঞ্চে যায় সরকার। মাননীয় বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এবং বিচারপতি অপূর্ব সিন্হা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চে যায় সরকার। সেখানে মাননীয় বিচারপতিরা সাফ জানান সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল থাকবে।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে প্রোমোটার অয়ন শীলের গ্রেফতারির পর তাঁর বাড়ি এবং অফিসে তল্লাশি চালায় ইডি। সেখানেই পুরসভার নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক নথি সামনে আসে। তাতেই পুরসভার নিয়োগেও বেনিয়ম সামনে আসে। দুর্নীতির শিকড়ে পৌঁছতে মামলার তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ED। তারা রিপোর্টও জমা করে।
আর সেই রিপোর্ট দেখেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন CBI তদন্তের। তবে এদিন ডিভিশন বেঞ্চের অবকাশকালীন বেঞ্চ জানায়, স্কুল নিয়োগের সঙ্গে পুর নিয়োগে দুর্নীতির কী সম্পর্ক আছে তা এখনও বোঝা যায়নি। আগামী ৬ জুন রেগুলার বেঞ্চে ওই নথি পেশ করতে হবে বলে জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।