মুর্শিদাবাদে খুন নদিয়ার তৃণমূল নেতা (TMC Leader Murder)। মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) থেকে নদিয়ায় (Nadia) ফেরার সময় ওই তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি ও বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। তাতেই গুরুতর জখম হন ওই তৃণমূল নেতা। এরপর তড়িঘড়ি তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও শেষ বাঁচানো সম্ভব হয়নি ওই তৃণমূল নেতাকে।
জানা গিয়েছে, ওই তৃণমূল নেতা নদিয়ার থানারপাড়ার নারায়ণপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের স্বামী। বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের নওদা থেকে নদিয়ার করিমপুরে ফিরছিলেন তিনি। অভিযোগ সেই সময়ই রাস্তা আটকে আক্রমণ চালানো হয় তাঁর ওপরে। ছোড়া হয় বোমা। চালান হয় গুলি। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে (Murshidabad Medical College And Hospital)।
তৃণমূলেরই একাংশের বিরুদ্ধে অভিযোগ পরিবারের
এই ঘটনাকে ঘিরে ইতিমধ্যেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে নদিয়া ও মুর্শিদাবাদের রাজনৈতিকমহলে। তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে রাজনৈতিক কারণেই এই খুন। দুষ্কৃতীরা আগে থেকেই তাঁর গতিবিধির ওপর নজর রাখছিল বলেই দাবি তৃণমূলের।যদিও নিহতের পরিবার অবশ্য তৃণমূলের নওদার একটি অংশের নেতাদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছে। নওদার একাংশের নেতাদের মদতেই এই ঘটনা বলে অভিযোগ তাদের। পরিবারের সদস্যরা আরও জানাচ্ছেন, নিহত ব্যক্তি তেহট্ট বিধানসভা এলাকায় দলের সংগঠক হিসেবে কাজ করতেন। তাই পরিকল্পিতভাবেই তাঁকে টার্গেট করা হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
নিয়মিত মিলছে অশান্তির খবর
প্রসঙ্গত, আগামি বছর রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন। দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা না হলেও সময় যত এগোচ্ছে ততই বাড়ছে রাজনৈতিক অশান্তি ও রক্তক্ষয়ের ঘটনা। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রায় প্রতিদিনই উদ্ধার হচ্ছে বেআইনি অস্ত্র। এই পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে রীতিমতো আশঙ্কায় রয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। তারই মাঝে এদিনের এই ঘটনা নতুন করে সেই আশঙ্কাকে আরও বাড়িয়ে তুলল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন - এবার সোনা পাচারের অভিযোগে পাকড়াও তৃণমূল নেতার ছেলে-শ্যালক