হাতে সিগারেট নিয়ে হাসতে হাসতে জাতীয় সঙ্গীত (National Anthem Of India), সোশ্যাল মিডিয়া ট্রোলড দুই তরুণী। তীব্র সমালোচনার ঝড় নেটিজেনদের মধ্যে। কেউ কেউ তুলেছেন গ্রেফতারি দাবি। ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়ে নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধও করে দেয় ওই দুই তরুণী। অন্যদিকে ইতিমধ্যেই তাদের বিরুদ্ধে লালবাজার সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সিগারেট হাতে নিয়ে হাসতে হাসতে জাতীয় সঙ্গীত গাইছে ওই দুই তরুণী। একসময় তাদের মধ্যে একজন হাতে একটি সিগারে নিয়ে সেটিকে জাতীয় পতাকা হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করছে। এমনকী জাতীয় সঙ্গীতের বাণীও ভুল গাইতে শোনা যায় তাদের।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড়
সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। সামাজ মাধ্যম ব্যবহারকারীরাই সমালোচনায় সরব হয়ে ওঠেন। তাঁদের গ্রেফতার এবং শাস্তির দাবিও ওঠে। এক ইউজার লেখে, 'এদের তো অ্যারেস্ট করা উচিত'। অপর ইউজারের প্রতিক্রিয়া, 'এদের উপযুক্ত শাস্তি হোক এটাই চাই'। আরও এক ইউজার লেখেন,'এদের শাস্তি দেওয়া উচিত'।
বন্ধ করা হয় ফেসবুক অ্যাকাউন্ট
এই ঘটনায় প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে নিজেদের ফেসবুক অ্যাটাউন্ট বন্ধ করে দেয় তার। পরে তাদের মধ্যে একজন অন্য একটি সামাজিক মাধ্যম থেকে লাইভে এসে জানায়, নিতান্তই 'মজা'র ছলে করা ওই ভিডিও যে এমন বিপদ ডেকে আনবে সেটা তারা স্বপ্নেও ভাবেনি।
কী বলছে আইন?
এই প্রসঙ্গে আইন বলছে প্রিভেনশন অফ ইনসাল্ট টু ন্যাশনাল অনার অ্যাক্ট ১৯৭১ অনুযায়ী জাতীয় সংগীত গাওয়ার সময় কোনওরকম পরিহাস বরদাস্ত নয়। সংবিধান অনুযায়ী, দেশের প্রত্যেকটি নাগরিককে জাতীয় সংগীতকে সম্মান জানাতে হবে। কেউ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে জাতীয় সংগীতের কোনওরকম অদলবদল ঘটায় বা উলটোপালটা শব্দ প্রয়োগ করে তাহলে তার ৩ বছর পর্যন্ত কারাবাস হতে পারে। এমনকী হতে পারে মোটা জরিমানাও।
আরও পড়ুন - ওজন কমায়-ভাল ঘুম এনে দেয় দুধ, গরম না ঠান্ডা; কীভাবে খাবেন?