রামনবমীতে হিংসার ঘটনায় পদক্ষেপ করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ। হাওড়ার শিবপুর, হুগলির রিষড়া ও উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলার ঘটনায় ৬টি মামলা দায়ের হল। এর মধ্যে পাঁচটি হাওড়া ও রিষড়ার অশান্তির ঘটনায়। ডালখোলায় রামনবমীতে হিংসার ঘটনায় দায়ের হয়েছে একটি মামলা। প্রসঙ্গত, রামনবমীর শোভাযাত্রায় হিংসার ঘটনায় তদন্তভার এনআইএ-র হাতে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তার পরই ৬টি মামলা দায়ের করল তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, অভিযুক্তদের হেফাজতে চাইতে পারে এনআইএ।
গত ২৭ এপ্রিল হাওড়ার শিবপুর, হুগলির রিষড়া এবং উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলায় রাম নবমীর হিংসার ঘটনায় এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। তারা জানিয়েছিল, দুসপ্তাহের মধ্যে সমস্ত নথি হস্তান্তর করতে হবে রাজ্যকে। রামনবমীর মিছিল হামলার অভিযোগে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ওই মামলায় ১০ এপ্রিল এনআইএ জানিয়েছিল, তারা তদন্ত করতে রাজি। তার পর শুনানিতে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, হিংসায় কারা জড়িত, কারা উস্কানি দিয়েছিল তা রাজ্য পুলিশের পক্ষে তদন্ত করে দেখা সম্ভব নয়। কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দরকার। ছাদ থেকে পাথর ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই সময় এত পাথর এল কীভাবে?
রাম নবমীর দিন অশান্ত হয়ে ওঠে হাওড়ার শিবপুর ও উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলা। শোভাযাত্রার উপরে ওঠে হামলার অভিযোগ। সেই ঘটনা কেন্দ্র করে ছড়ায় অশান্তি। চলে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ। দুপক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ। একাধিক গ্রেফতার করে পুলিশ। গোটা ঘটনায় গেরুয়া শিবিরের দিকে ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 'দেশের একশো জায়গায় সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়াতে চাইছে বিজেপি। আমরা এটা করতে দিইনি। অনুমতি দেওয়া হয়নি। আমি শোভাযাত্রা করতে দিইনি। রিভলভার, পেট্রল বম্ব নিয়ে সংখ্যালঘুদের উপরে হামলা করেছে ওরা। রমজান মাসে উস্কানি দেব। তার পর চ্যানেলকে বলব দেখো কী হচ্ছে! বাংলাকে অশান্ত করার পরিকল্পনা বিজেপির। বাংলা অশান্ত হলে দেশও অশান্ত হবে। ওরা পরিকল্পনা করে হামলা করেছে।'
সেই সঙ্গে মমতা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন,'সংখ্যালঘুরা কেউ জড়িত না। তারা রমজান ও নমাজ নিয়ে ব্যস্ত ছিল। ওই এলাকায় যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি।'