জল্পনা ছিলই। আর তা সত্যি করে নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রীসভায় জায়গা পেলেন জন বার্লা, সুভাষ সরকার, নিশীথ প্রামাণিক ও শান্তনু ঠাকুর।
কিছুদিন আগেই শোনা যায়, রাজ্য থেকে একাধিক সাংসদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা পাবেন। তালিকায় নাম ছিল জন বার্লা, সুভাষ সরকার, নিশীথ প্রামাণিক ও শান্তনু ঠাকুরের। সেই মতো গতকাল দিল্লি উড়ে যান তাঁরা। আজই শপথ নেবেন তাঁরা। জানা যাচ্ছে, ৪ জনকেই প্রতিমন্ত্রী করা হতে পারে।
শান্তনু ঠাকুর : রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, বনগাঁ কেন্দ্র থেকে জেতার পরও দলের সঙ্গে তেমন সু-সম্পর্ক ছিল না শান্তনুর। বিভিন্ন ইস্যুতে তিনি দলের বিরোধিতাও করেন। কিন্তু, মতুয়া ভোটকে মাথায় রেখে শান্তনুকে হাতে রাখতে বদ্ধপরিকর গেরুয়া শিবির। সেই কারণেই তাঁকে মন্ত্রিত্ব দেওয়া হল।
শান্তুনুর মন্ত্রিত্ব পাওয়া নিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজ্য বিজেপির এক নেতা বলেন, শেষ লোকসভা ও একুশের বিধানসভা নির্বাচনে মতুয়া এবং রাজবংশীরা আমাদের অনেক ভোট দিয়েছেন৷ এবার ওঁদের ভালোবাসার সম্মান জানানোর সময়।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে BJP-র টিকিটে বনগাঁ কেন্দ্র থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন শান্তনু ঠাকুর। বাংলার প্রাক্তন মন্ত্রী মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুরের শান্তনু মতুয়া মহাসংঘের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা।
আরও পড়ুন : Saumitra khan resigns: BJP যুব মোর্চার দায়িত্ব ছাড়লেন সৌমিত্র, জল্পনা তুঙ্গে
নিশীথ প্রামাণিক ও জন বার্লা : একুশের বিধানসভা ভোটে দক্ষিণবঙ্গ ও কলকাতার তুলনায় অনেক বেশি ভালো ফল করেছে বিজেপি। আর তার কারিগর বলে মনে করা হচ্ছে নিশীথ প্রামাণিক ও জন বার্লাকে। জন বার্লা আলিপুরদুয়ারের সাংসদ। তাঁর নেতৃত্বেই সেই জেলার সবকটি বিধানসভা আসনে জয় পেয়েছে গেরুয়া শিবির। তারই পুরস্কার হিসেবে তাঁকে মন্ত্রিত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে খবর। অন্যদিকে নিশীথ প্রামাণিককে বিধানসভাতেও প্রার্থী করেছিল বিজেপি। তিনি জয়ী হয়েছেন। প্রমাণ দিয়েছেন সাংগঠনিক দক্ষতার। মাত্র ২ বছরের ব্যবধানে সাংসদ ও বিধায়ক হয়ে নিশীথ দলের কাছে নিজের বিশ্বাস যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন। তাই তাঁকে মন্ত্রী করল মোদী সরকার।
সুভাষ সরকার: ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বাঁকুড়া কেন্দ্র থেকে বিজেপি-র টিকিটে জয়ী হন সুভাষ সরকার। তাঁর স্বচ্ছ ভাবমূর্তিকে হাতিয়ার করেই সেবার জঙ্গলমহলে গেরুয়া শিবির ভালো ফল করেছিল বলে মনে করে রাজনৈতিক মহল। কিন্তু, একুশের ভোটে জঙ্গলমহলে সেভাবে ভালো ফল করতে পারেনি গেরুয়া শিবির। সেখানে যেন ফের দল ঘুরে দাঁড়াতে পারে, সেজন্যই সুভাষবাবুকে মন্ত্রী করা হচ্ছে বলে খবর।