শুভব্রত চক্রবর্তীর মৃত্যুর তদন্তে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাড়িতে ফের CID। আজ ৪ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল শুভেন্দুর বাড়িতে যান। যেখানে শুভব্রত চক্রবর্তী গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন সেখানকার ভিডিওগ্রাফি করেন তদন্তকারীরা।
শুভেন্দুর দেহরক্ষী শুভব্রতর মৃত্যুর ঘটনায় চলতি মাসের প্রথম দিকে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর স্ত্রী সুপর্ণা কাঞ্জিলাল চক্রবর্তী। তারপর থেকেই তৎপর হয়ে উঠেছে রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা। কয়েকদিন আগে তদন্তে নেমেই যে পুলিশ ব্যারাকে শুভব্রত থাকতেন সেখানে ও শুভেন্দুর বাড়িতে গিয়েছিলেন গোয়েন্দারা। সেদিন শুভেন্দুর ভাই সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী তদন্তকারীদের গোটা বাড়ি ঘুরিয়ে দেখান। আজ ফের গোয়েন্দারা যান সেখানে। আজও দিব্যেন্দু ছিলেন বাড়িতেই। তিনি গোয়েন্দাদের সঙ্গে ঘোরেন।
কী কারণে তিনি CID-র সঙ্গে ঘুরছেন? এই প্রশ্নের উত্তরে দিব্যেন্দু সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'আমার বাড়িতে তদন্তকারীরা এসেছেন। তাঁদের সঙ্গে আমি থাকব সেটাই স্বাভাবিক। তবে ওঁরা আমাকে কিছু জিজ্ঞাসা করেননি।'
আরও পড়ুন : By Election 2021: রাজ্যের ৭ বিধানসভা আসনে উপনির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু EC-র
শুভব্রত যেখানে থাকতেন সেই বাড়ির আজ ভিডিওগ্রাফি করেন তদন্তকারীরা। গোটা বাড়িটি ঘুরে দেখেন। প্রসঙ্গত, পরশুরাতে পুলিশ লাইনে গিয়েছিলেন গোয়েন্দারা। তাঁরা শুভব্রত চক্রবর্তীর সঙ্গে যাঁরা কাজ করতেন, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। রাঁধুনি, ড্রাইভার-সহ আরও দু-একজনের সঙ্গে কথা বলেন। তারপর আজ যান শুভেন্দুর বাড়িতে। এই তদন্ত নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। মৃত্যুর এতদিন পরে তদন্ত কেন? বলেছেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারীকে চাপে রাখার জন্যই সরকারের তরফে এসব করা হচ্ছে, এমনটাই দাবি করছেন কেউ কেউ।
সূত্রের খবর, তদন্তকারীরা প্রয়োজনে শুভেন্দু অধিকারীকে আইনি নোটিশ পাঠিয়ে এই মামলার প্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করতে পারেন। সেই ২০১৮ সালে মৃত্যু হয়েছিল শুভব্রতর। তার এতদিন পরে থানায় গেলেন মৃতের স্ত্রী। এই নিয়ে সুপর্ণা দাবি করেছিলেন, শুভেন্দু শক্তিশালী। সবাই ওঁর বিরুদ্ধে মুখ খুলতে ভয় পান। তাই সেই সময় তিনি অভিযোগ করতে পারেননি।
২০১৮ সালের ১৩ অক্টোবর, সকালে গুলিবিদ্ধ হন রাজ্যের তত্কালীন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর দেহরক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তী। সেই সময় পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত নেমে জানায়, আত্মহত্যা করেছেন শুভব্রত।