রাজ্যের রূপান্তরকামীরাও আসছেন স্বাস্থ্যসাথীর আওতায়। এমনটাই খবর স্বাস্থ্য দফতরের। আবার বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকদেরও স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে কয়েকটি জেলা থেকে স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় আনা হয়েছে। দিনকয়েক আগে স্বাস্থ্যসাথীর রিভিউ মিটিং হয়।
তথ্য বলছে, রাজ্যে ২ কোটি ৮৫ লক্ষ পরিবার স্বাস্থ্যসাথী পরিষেবার আওতায় এসেছে। মাসে গড়ে ২০০-২২০ কোটি টাকা সরকারের কোষাগার থেকে খরচ হয়। এই সব তথ্যের পাশাপাশি আরও একটি বিষয় নজরে এসেছে বিশেষজ্ঞ কমিটির। তা হল, রুপান্তরকামীরাও স্বাস্থ্যসাথীর পরিষেবা পাচ্ছেন। সংখ্যাটা অন্তত ৪৩ হাজার।
স্বাস্থ্যসাথীর ফর্মপূরণের সময় তিনটি কলাম থাকে। পুরুষ, স্ত্রী ও অন্যান্য। গত দু’বছরের তথ্য বলছে, তৃতীয় লিঙ্গের পরিচয় অনেক সহজেই প্রকাশ্যে আনছেন বেশিরভাগ মানুষ। এবং সমাজের মূল স্রোতে থেকে আর পাঁচজনের মতো কাজ করছেন। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এসএসকেএম হাসপাতালে গত কয়েক বছরে লিঙ্গ পরিবর্তন করে রূপান্তরিত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। তবে তাঁদের দীর্ঘদিন চিকিৎসার মধ্যে থাকতে হয়। যদিও লিঙ্গ পরিবর্তনের অস্ত্রপচারে কোনও সুবিধে কার্ডে মিলবে কী না, তা জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, আগেই বেসরকারি হাসপাতালে হাড়ের অস্ত্রোপচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর। শুধুমাত্র জরুরি ক্ষেত্রে, বিশেষ অনুমতি থাকলে এ ধরনের অস্ত্রোপচার বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে করা যাবে।