টেটের ঠিক আগের রাতে ফের বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার হুগলির চুঁচুড়ায় একটি সভা ছিল বিরোধী দলনেতার। সভার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দুর অভিযোগ, 'আমাদের কাছে বহু জায়গা থেকেই অসংখ্য ফোনে অভিযোগ আসছে এই বলে যে, 'পরীক্ষার্থীদের প্রশ্ন বলে দেওয়া হবে। তবে তার আগে ১০ লক্ষ টাকার কনট্রাক্ট করতে হবে। ৫ লক্ষ টাকা অগ্রিম দিলেই শনিবার রাতের মধ্যেই সেই প্রশ্ন হাতে পেয়ে যাবেন, উত্তরও লিখতে পারবেন। পরবর্তীকালে পরীক্ষায় পাশ করলে আরও পাঁচ লাখ টাকা দিতে হবে।'
শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, 'যদি এই ব্যবস্থার মাধ্যমে টেট পরীক্ষা হয়, তাহলে পরীক্ষা নেওয়ার কোনও মানেই হয় না। আমরা চাই মেধাযুক্ত পরীক্ষার্থীরা চাকরি পাক।'
উল্লখ্য, এদিনই শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল টেট নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন, কেউ কেউ পরীক্ষায় বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করছে। সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্যও রয়েছে। পর্ষদ সবকিছুর ওপর কড়া নজর রাখছে। প্রয়োজনে প্রশাসনির ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গৌতম পাল জানান, ৬ লক্ষ ৯০ হাজার ৯৩২ জন পরীক্ষার্থী এবার টেটে বসছেন। ১ হাজার ৪৬০টি পরীক্ষা কেন্দ্র। মুর্শিদাবাদ জেলায় সবচেয়ে বেশি পরীক্ষার্থী। ক্লাসরুমে ঢোকার আগে ক্লাসরুম খতিয়ে দেখবেন দায়িত্বপ্রাপ্তরা। জেলাশাসক, ডিআইদের নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষার জন্য প্রশাসনের সব স্তর সতর্ক আছে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, কোয়েশ্চন বুকলেট বাড়ি নিয়ে যেতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা। ওএমআর শিটের দু’টো কপি থাকবে। অরিজিনাল কপি বোর্ড নিয়ে নেবে, ক্যান্ডিডেট একটা কপি বাড়ি নিয়ে যেতে পারবে। অফিসের ৪ তলায় কন্ট্রোল রুম থাকবে। অধিকাংশ সেন্টারে সরাসরি নজরদারি করা হবে পর্ষদ থেকে। হেল্পলাইন নম্বর ৬২৯২২৭৮৪৩৮
উল্লেখ্য ২০১৭ সালের পর ফের টেট পরীক্ষা হচ্ছে। কড়া ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পর্ষদ। একের পর এক নিয়োগ দুর্নীতিতে জেরবার রাজ্য। আদালত একের পর এক নির্দেশ দিচ্ছে। সিবিআই-ইডির তদন্তে একাধিক দূর্নীতির খবর প্রকাশ্যে আসছে। স্বাভাবিকভাবেই এই পরিস্থিতিতে সুষ্টুভাবে পরীক্ষা ও নিয়োগ সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ সরকারের কাছে। তাই কাল সকলেই নজর থাকবে বহু প্রতিক্ষিত টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট বা টেটের দিকেই।
আরও পড়ুন: রাত পোহালেই টেট, তার আগেই বিস্ফোরক মন্তব্য পর্ষদ সভাপতির