সিবিআই দেখেই জোড়া মোবাইল ফেলেছিলেন পুকুরে। সেই দুই মোবাইল খুঁজতে গিয়ে রীতিমতো দক্ষযজ্ঞ করতে হল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের। পুকুরের জল ছেঁচার পর জেসিবি মেশিন পর্যন্ত নামাতে হয়েছে। শুক্রবার বিকেল ৫টা নাগাদ জীবনকৃষ্ণ পুকুরে মোবাইল ফেলেছিলেন বলে সিবিআই সূত্রের খবর। রবিবার একটি মোবাইল উদ্ধার হয়েছিল। ৬৬ ঘণ্টা পরে সোমবার সকালে উদ্ধার হল আর একটি মোবাইল। পুকুরে মোবাইল খোঁজার সময় উদ্ধার হয়েছে কই, মাগুর, চিতল ও শোল।
জানা গিয়েছে, জীবনকৃষ্ণের পুকুরে মিলেছে ২ টি বোয়াল মাছ, ২৮টি কই মাছ, দুডজন শিঙি এবং দুটি বড় শোল। মাছ তো পাওয়া গিয়েছে শ্রমিকদের হাতে-পায়ে কাঁটাও বিঁধেছে। মাছ পাওয়ার পর শ্রমিকরা আনন্দও করেন। কাদার মধ্যে মোবাইল খোঁজা চাট্টিখানি কথা নয়!অসাধ্য সাধন করেছেন শ্রমিকরা। রবিবার সাত সকাল ৭টা নাগাদ উদ্ধার হয়েছিল প্রথম মোবাইল ফোনটি। দ্বিতীয়টি উদ্ধার হল সোমবার বেলা ১২টায়। সিবিআই সূত্রের খবর, মোবাইলগুলিতে এমন কিছু তথ্য থাকতে পারে যা গোপন করার চেষ্টা করেছেন জীবনকৃষ্ণ। আপাতত জোড়া মোবাইলের থেকে তথ্য উদ্ধারই সিবিআই-র লক্ষ্য।
আরও পড়ুন- অভিষেককে এখনই জিজ্ঞাসাবাদ নয়, হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টে
শুক্রবার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িয়েছে তাঁর নাম। বিকেলেই সিজার লিস্ট তৈরি ফেলেছিলেন তদন্তকারীরা। সেই তালিকায় ছিল তাঁর ও স্ত্রীর মোবাইল ফোন। সিবিআই সূত্রের খবর, শৌচালয়ে যাওয়ার নাম করে ওই দুটি মোবাইল পুকুরে ফেলে দেন জীবনকৃষ্ণ। সেই ফোন উদ্ধারে তল্লাশি অভিযান শুরু করে সিবিআই। তিনটি পাম্প বসিয়ে পুকুর ছেঁচে জল তোলা হয়। ভোররাতে আবার পুকুরের জল বাড়তে থাকে। র ৩টে নাগাদ আরও একটি পাম্প চালানো হয়। এর পর পাকে শুরু হয় উদ্ধারকাজ। রবিবার সকাল ৭টায় উদ্ধার হয় একটি মোবাইল, মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় মেলে আর একটি।
সূত্রের খবর, গোটা পর্ব নিয়ে বিরক্ত সিবিআইয়ের দিল্লির অফিস। কীভাবে সিবিআই জেরা চলাকালীন বিধায়ক মোবাইল ফোন ফেললেন তার রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে। সূত্রের খবর, দিল্লির অফিস মনে করছে, গাফিলতি দেখিয়েছেন তদন্তকারী অফিসাররা। মোবাইল কেন আগেই বাজেয়াপ্ত করা হল না? কেন জিজ্ঞাসাবাদের সময় মোবাইল রাখতে পেরেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক?