কম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে আজকের ব্যস্ত যুগে মেট্রোর জুরি মেলা ভার। কলকাতার গণ্ডি পেরিয়ে মেট্রো এখন সুড়ঙ্গ বেয়ে পৌঁছে গিয়েছে পাশের শহর হাওড়াতে। তবে এখানেই শেষ নয়। আগামী দিনে কি কলকাতার লাইফলাইনের গন্তব্য হবে হুগলির ব্যান্ডেল? সম্প্রতি হুগলির সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক মন্তব্যে তেমন জল্পনাই দানা বেঁধেছে। হুগলি পর্যন্ত মেট্রো প্রকল্পের স্বপ্নপূরণ কি আদৌ সম্ভব? হুগলি মেট্রোর বাস্তবায়ন নিয়ে কী ভাবছেন সাংসদ রচনা? bangla.aajtak.in-এ এই নিয়ে মুখ খুললেন বাংলার 'দিদি নং ১'।
হুগলি মেট্রো কি আদৌ সম্ভব?
এই প্রসঙ্গে bangla.aajtak.in-এ রচনা বলেছেন, 'এটা বড় প্রক্রিয়া। এটা জাস্ট একটা প্রথম ধাপ। এটা দীর্ঘ প্রক্রিয়া। অনেক বছরের কাজ। কাউকে তো একটা উদ্যোগ নিতে হবে। আমার জায়গা হুগলি, অন্তত আওয়াজ তো তুললাম। সবটাই কেন্দ্রের হাতে। এবার তারা যদি বিবেচনা করে, চিন্তা করে, সহানুভূতিশীল হয়, আগামী দিনে যদি শুরু করা হতে পারে। সেটাও অনেক। হুগলির মানুষ উপকৃত হবেন।'
কলকাতা থেকে হুগলি দীর্ঘ পথ। এই লম্বা রুটে মেট্রো চালাতে হলে আরও দুই সাংসদের এলাকা পড়ছে। হাওড়া ও শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে। এই প্রসঙ্গে রচনার কথায়, 'লম্বা পথ। এর মধ্যে হাওড়া, শ্রীরামপুর থাকবে। সেসব জায়গার সাংসদরাও যদি উদ্যোগ নেন, তাহলেও কাজটা হতে পারে। আগামী দিনে কাউকে তো একটা শুরু করতে হবে। আমি শুরু করে দিলাম।'
মেট্রো রেল প্রকল্পের জন্য জমি প্রয়োজন। জমি অধিগ্রহণ নিয়ে বাংলায় কম বিতর্ক হয়নি। এই প্রসঙ্গে রচনা বললেন, 'জমি জট, এটা বিশাল ব্যাপার। অনেক নিয়ম রয়েছে। যাঁদের জমি, তাঁদের নিয়ে কী চিন্তা ভাবনা করা হবে, দেখা যাক। যত দিন আমি থাকব, তত দিন আমি চেষ্টা করব।'
মেট্রো প্রকল্প নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কোনও কথা হয়েছে? রচনার জবাব, 'দিদির সঙ্গে কোনও কথা হয়নি। কারণ এটা পুরোপুরি কেন্দ্রের ব্যাপার।'
হুগলি মেট্রোর ভাবনা কীভাবে পেলেন রচনা? এটা কি তাঁরই মস্তিষ্কপ্রসূত? প্রশ্ন শুনে হুগলির তারকা সাংসদ বললেন, 'একদমই। ওখানকার মানুষের সঙ্গে আলোচনা করি। জিজ্ঞেস করি, কী পেলে খুশি হবেন, তাঁরা জানিয়েছেন, দিদি আমাদের এখানে মেট্রো নেই, কলকাতায় মেট্রো আছে। সেটা আমার মাথায় ছিল। মেট্রো পেলে উপকৃত হবেন সকলে। আগামী প্রজন্মের উপকার হবে। যদি বাস্তবায়িত হয় তা হলে খুব ভাল হবে।'
প্রস্তাব তো দিলেন, এর পর কী পদক্ষেপ? উত্তরে রচনা বললেন, 'ফলো আপ করতে হবে। রেলমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে হবে। কবে নাগাদ ভাবতে পারি, জানতে হবে। মন্ত্রকের প্রচুর কাজকর্ম। ওরা তো শুধু হুগলি নিয়ে বসে নেই। আগামী দিনে যাতে প্রস্তাবটা ভুলে না যান, সেজন্য মাঝেমধ্যে দেখা করা, ফলো আপ করা, এসব করতে হবে। তাছাড়া সংসদে সুযোগ পেলে নিশ্চয়ই কথা বলব মেট্রো নিয়ে।'