গত কয়েকবছর ধরেই রাজ্যে বাম-কংগ্রেসকে পেছনে ফেলে প্রধান বিরোধী শক্তি হয়ে উঠেছে বিজেপি। ছাত্র রাজনীতিতেও ক্রমেই শক্তি বাড়ছে বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপির। তাই একসময় কলেজে কলেজে এসএফআই-টিএমসিপি সংঘর্ষের কথা শোনা গেলেও এখন পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। কলেজ দখলের লড়াইয়ে টিএমসিপির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বি হয়ে উঠেছে ভারতীয় জনতা পার্টির ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ। আর যুযুধান দুই পক্ষের লড়াইকে কেন্দ্র করেই এবার উত্তাল হয়ে উঠল উত্তর চব্বিশ পরগনার গোবরডাঙার হিন্দু কলেজ।
গোবরডাঙার হিন্দু কলেজের ছাত্র সংসদের দখল কাদের হাতে থাকবে, তাই নিয়েই এদিনের অশান্তির শুরু। যা ক্রমে সংঘর্ষের রূপ পায়। এই ঘটনায় টিএমসিপি এবং এবিভিপি দুই ছাত্র পরিষদেরই কমপক্ষে ২০ জন পড়ুয়া আহত বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। দুই ছাত্র সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষের শুক্রবার দুপুরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় কলেজ চত্বর। ভাঙচুর করা হয় একাধিক গাড়ি, কলেজের দরজার কাঁচ, পাখা সহ বিভিন্ন জিনিস।
কলেজ চত্বরের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি সামলাতে শেষপর্যন্ত ময়দানে নামতে হয় বিশাল পুলিশ বাহিনীকে। এবিভিপির অভিযোগ কয়েকদিন আগেই তাদের দুই সমর্থককে মারধর করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা। সেই নিয়েই এদিন কলেজের প্রিন্সিপালের কাছে স্মারকলিপি জমা দিতে গিয়েছিল অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ ও বিজেপিকর্মীরা। সেই সময়ই টিএমসিপি কর্মীদের সঙ্গে কলেজ চত্বরে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন তারা। যা পরে সংঘর্ষের রূপ নেয়। এদিনের গণ্ডগোলে দু'পক্ষের ১৭ টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ।
টিএমসিপির অভিযোগ শুক্রবার সংঘর্ষের সময় কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কার্যালয় 'ছাত্র সংসদ' ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় এবিভিপির সমর্থকরা। অবস্থা সামাল দিতে এখন পুলিশ পিকেটিং রয়েছে হিন্দু কলেজে। ঘটনাস্থলে হাবড়া থানা ও গোবরডাঙা থানার বিশাল পুলিশবাহিনী আনা হয়েছে।