অনুব্রত মন্ডল-বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার ভাইরাল হল আরও একটি ভিডিও। এবার তা রাজ্যের ট্রাফিক পুলিশের। যেখানে এক কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারকে জাতীয় সড়কের ধারে ভিন রাজ্য থেকে আসা এক ট্রাক মালিককে ভাত খেতেও না দেওয়ার ঘটনা দেখা যাচ্ছে।
ঠিক কী ঘটেছে? জানা গিয়েছে, জাতীয় সড়কের ধারে ফাঁকা জায়গায় ট্রাক দাঁড় করিয়ে রান্না করে খাচ্ছিলেন এক ট্রাকের মালিক ও তাঁর সঙ্গী। ঠিক সেই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন রাজগঞ্জ থানার ট্রাফিক ওসি। তিনি খাওয়ার মধ্যে বাধা দেন ট্রাক মালিককে।
এরপর শুরু হয় বচসা। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, পুলিশের সঙ্গে সরাসরি কথাকাটাকাটিতে জড়ান ওই ট্রাক মালিকের সঙ্গী। এমনকী, কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতেও দেখা যায় বলে অভিযোগ।
এখানেই শেষ নয়। ভিডিওতে স্পষ্টভাবে শোনা যাচ্ছে, ট্রাক চালক তথা মালিক বলছেন, তিনি বিজেপি দল করেন। আর এতেই যেন রেগে আগুন হয়ে ওঠেন ট্রাফিক ওসি। এরপর মুখের ভাষা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের পোশাক ও আচরণ নিয়ে। একজন পুলিশ অফিসার, যিনি কর্তব্যরত অবস্থায়, তাঁর মুখে এমন ভাষা আদৌ শোভা পায় কি না, তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
ভিডিওটি ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে এই ভিডিওর সত্যতা আজতক বাংলা স্বতঃসিদ্ধভাবে যাচাই করেনি।
তবে পুলিশের পোশাক গায়ে থাকলেও যেভাবে তিনি অশালীন ভাষায় কথা বলেছেন, তা ঘিরে ফের একবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে পুলিশের আচরণবিধি বা এথিক্স অ্যান্ড এটিকেট।
সাধারণ মানুষের একাংশের প্রশ্ন, যে পুলিশ সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন, তাঁরাই যদি এমন ব্যবহার করেন, তবে সাধারণ মানুষ নিরাপদ থাকবে কীভাবে?
উল্লেখ্য, বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে ফোনে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করার অভিযোগ উঠেছে বীরভূমের দোর্দন্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে। অনুব্রত মণ্ডলের সেই হুমকি এবং বোলপুর থানার আইসিকে হুঁশিয়ারি দেওয়ার অডিও ক্লিপ ভাইরাল হতেই অস্বস্তিতে পড়ে যায় তৃণমূল কংগ্রেস।
দলের অন্দরেই চাপ বাড়ে। দ্রুত পদক্ষেপ নেয় প্রশাসন। অনুব্রত মণ্ডলকে লিখিতভাবে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
সংবাদদাতা: রাজেন প্রধান