ক্রিসমাস ও নববর্ষ ঘিরে ফেস্টিভ মুডে বাংলা। আলোয় সেজে উঠেছে পার্কস্ট্রিট । ভিড় হচ্ছে ভাল। বড়দিনের উৎসবকে কেন্দ্র করে করোনা-বিধি উড়িয়ে যেভাবে রাস্তায় নেমেছে মানুষের ঢল তাতে নতুন বছরের শুরুতেই সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা করছেন অনেক বিশেষজ্ঞই। এর মধ্যেই অবশ্য গত কয়েকদিন ধরেই ধীরে ধীরে কমছে দৈনিক করোনা সংক্রমণ। যা অনেকটাই স্বস্তি দিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরকে। গত সোমবার রাজ্যে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল হাজারের সামান্য কিছু বেশি। তবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেই সংখ্যাটা কিছুটা বাড়ল। মঙ্গলবার করোনা টেস্টিং বাড়তেই দৈনিক সংক্রমণ ১২০০-র গণ্ডি ছাড়িয়ে গেল। সেইসঙ্গে বাংলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছে গেল সাড়ে পাঁচ লক্ষের দোরগোড়ায়।
স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিন বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ২৪৪ জন। যা সোমবার তুলনায় কিছুটা বেশি। বেড়েছে মৃত্যুও। আবার সামান্য কমেছে সুস্থতার হার। মঙ্গলবার রাজ্যে সর্বাধিক করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে উত্তর ২৪ পরগণা। গত ২৪ ঘণ্টায় এই জেলায় করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৩১৫ জন। এ নিয়ে দৈনিক করোনা সংক্রমণের নিরিখে টানা ৭২ ঘণ্টা রাজ্যে শীর্ষস্থানে রইল কলকাতা সংলগ্ন এই জেলা। এর পিছনেই রয়েছে শহর তিলোত্তমা। গত ২৪ ঘণ্টায় মহানগরে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৭০ জন। তবে স্বস্তির বিষয় রাজ্যের অন্য জেলাগুলিতে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ১০০ পার করেনি।
সোমবার পর্যন্ত রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫ লক্ষ ৪৮ হাজার ৪৭১ জন। এদিন ১২৪৪ জন বেড়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লক্ষ ৪৯ হাজার ৭১৫ জন। রাজ্যে করোনা সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯৬৫৫। এদিন মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনের। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বাংলায় এই মূহূর্তে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১২ হাজার ৭৮৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা মুক্ত হয়েছেন ১৫৮৭ জন। যার ফলে বাংলায় এখন মোট করোনা জয়ীর সংখ্যা ৫ লক্ষ ২৭ হাজার ২৭২ জন। পশ্চিমবঙ্গে সুস্থতার হার ৯৫.৯২ শতাংশ।
করোনা বুলেটিনে জানানো হয়েছে এদিন পর্যন্ত রাজ্য়ে মোট করোনা টেস্ট হয়েছে ৭০ লক্ষ ৩৩ হাজার ৬৬ জনের। ৯৮টি ল্যাবরেটরিতে এই টেস্টিং চলছে। ১০ লক্ষ জনের মধ্যে টেস্টিং রেট ৭৮১২৩। এদিন টেস্টিং হয়েছে ৩৭,২৪৫ জনের। মোট টেস্টিংয়ের নিরিখে করোনা সক্রিয়ের হার ৭.৮২ শতাংশ। ডিসেম্বরের গোড়াতেও তিন হাজারের গণ্ডি পেরিয়ে যাচ্ছিল বাংলার দৈনিক করোনা সংক্রমণ। কিন্তু গত কয়েকদিনে তা আস্তেআস্তে নেমে এসেছে দেড় হাজারের কোঠায়। তবে বর্ষশেষের উৎসবে যেভাবে মানুষ পথে নেমেছেন তাতে সেই রেকর্ড বজায় থাকে কিনা সেটাই এখন চিন্তার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।