Advertisement

West Bengal Police: 'মেয়েদের রাত দখলে' আক্রান্ত কর্তব্যরত মহিলা পুলিশ, 'রাতটা কি শম্পারও ছিল না?' প্রশ্ন রাজ্য পুলিশের

মেয়েদের রাত দখলের রাতেই আক্রান্ত কর্তব্যরত মহিলা পুলিশ। গত ১৫ অগাস্টের রাতে মেয়েদের রাত দখলের প্রতিবাদের দিন নিরাপত্তা দিতে বাগুইআটিতে ডিউটি পড়েছিল বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের কনস্টেবল শম্পা প্রামাণিকের। ঘটনাস্থলে ভিড় থেকে ছোড়া ইটে আক্রান্ত হন শম্পা। সেটি এসে পড়ে তাঁর মুখে। গলগল করে বেরোতে থাকে রক্ত। শুক্রবার কনস্টেবলের ছবি পোস্ট করে রাজ্য পুলিশ।

ফাইল ছবি
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 16 Aug 2024,
  • अपडेटेड 10:29 PM IST

মেয়েদের রাত দখলের রাতেই আক্রান্ত কর্তব্যরত মহিলা পুলিশ। গত ১৫ অগাস্টের রাতে মেয়েদের রাত দখলের প্রতিবাদের দিন নিরাপত্তা দিতে বাগুইআটিতে ডিউটি পড়েছিল বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের কনস্টেবল শম্পা প্রামাণিকের। ঘটনাস্থলে ভিড় থেকে ছোড়া ইটে আক্রান্ত হন শম্পা। সেটি এসে পড়ে তাঁর মুখে। গলগল করে বেরোতে থাকে রক্ত। শুক্রবার কনস্টেবলের ছবি পোস্ট করে রাজ্য পুলিশ।

রাজ্য পুলিশ ফেসবুক পোস্টে লেখে, "রাতটা কি শম্পারও ছিল না? রাতটা সেদিন মেয়েদের ছিল। কর্মক্ষেত্রে মেয়েদের নিরাপত্তার দাবিতে রাস্তা দখলের রাত। কর্মক্ষেত্রে নির্যাতনের মর্মান্তিক শিকার হয়েছেন এক তরুণী। যাঁর জন্য সহমর্মিতায় সে রাতে নারীপুরুষ নির্বিশেষে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মানুষ জড়ো হয়েছিলেন রাস্তায়। রাস্তায়, যেখানে আমাদের সহকর্মী কনস্টেবল শম্পা প্রামাণিকের কর্মক্ষেত্র। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের কর্মী শম্পার কাজ নাগরিকদের নিরাপত্তা দেওয়া। শম্পা ১৪ অগাস্টের রাতে নিজের কাজটাই করছিলেন বাগুইআটিতে। রাতে যাঁরা রাস্তায় হাঁটছিলেন, শম্পা তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দায়িত্বে ছিলেন। কাজ করছিলেন রাস্তায়, নিজের কর্মক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে। হঠাৎই বিনা প্ররোচনায় জমায়েতের মধ্য থেকে পুলিশের দিকে উড়ে আসে বেশ কিছু ইট, যার একটি গিয়ে লাগে শম্পার মুখে। সঙ্গের ছবিটি শম্পার। ঘটনার জেরে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছি আমরা, শাস্তি সুনিশ্চিত করার চেষ্টা করব, এসব নেহাতই পারিপার্শ্বিক তথ্য এ ক্ষেত্রে। মূল প্রশ্নটা অন্য। রাতটা কি শম্পারও ছিল না?" এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৫ জন গ্রেফতার হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

অন্যদিকে আরজি করে সেদিন বিক্ষুব্ধ জনতা হাসপাতাল চত্বরে প্রবেশ করে এবং পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। হাসপাতালের বাইরে বিশাল সংখ্যক জনতা বিক্ষোভ করে এবং তারপর ব্যারিকেড ভেঙে হাসপাতালের ভিতরে থাকা গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। প্রতিবাদীদের মঞ্চও ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। অভিযোগ, নির্ধারিত জমায়েতের কারণে আরজি করের সামনে প্রচুর ভিড় জমে যায়। আচমকা বেশ কিছু মানুষ ব্যারিকেড ভেঙে হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে যান ও এমার্জেন্সি বিভাগে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। এছাড়াও উল্টে দেওয়া হয় পুলিশের গাড়ি। ৩০-৪০ জন ব্যক্তি লাঠি হাতে আচমকা হাসপাতালে ঢুকে ভাঙচুর চালাতে শুরু করে বলে অভিযোগ।

Advertisement

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement