Advertisement

ভোট পরবর্তী হিংসা: ধনেখালিতে রাজ্য পুলিশকে ধমক কেন্দ্রীয় দলের

আজ হুগলির ধনেখালিতে আসেন ৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল। সেখানে চক সুলতানে রাজ্য পুলিশের আধিকারিকদের ধমক দিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের সদস্যরা।

kolkata
ভোলা নাথ সাহা
  • হুগলি,
  • 09 May 2021,
  • अपडेटेड 5:44 PM IST
  • ধনেখালিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী
  • সেখানে রাজ্য পুলিশের আধিকারিকদের ধমক দিলেন কেন্দ্রের সদস্যরা

ভোট পরবর্তী হিংসায় উত্তপ্ত রাজ্য। একাধিক জায়গায় সংঘর্ষ হয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, রাজ্যজুড়ে তাদের কর্মীদের উপর আক্রমণ করছে তৃণমূল। একাধিক কর্মী খুনও হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অভিযোগ খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এসেছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। আজ হুগলির ধনেখালিতে আসেন ৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল। সেখানে চক সুলতানে রাজ্য পুলিশের আধিকারিকদের ধমক দিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। 

আজ ধনেখালিতে যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রতমন্ত্রকের প্রতিনিধি দল। যার নেতৃত্ব দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব গোবিন্দ মোহন। চক সুলতানে পৌঁছানোর আগে তাঁদের কাছে অভিযোগ, আসে এলাকার বাসিন্দাদের হুমকি দিয়েছে রাজ্য পুলিশ। তাদের বয়ান দিতে বারণ করেছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাজ্য পুলিশের আধিকারিকদের ধমক দেয় কেন্দ্রীয় সদস্য়রা। পুলিশকে তাঁরা সাফ জানিয়ে দেন, 'আপনারা এখানে কী করছেন? আপনাদের কোনও সাহায্য আমাদের দরকার নেই। আপনারা এখান থেকে যেতে পারেন।' 

আরও পড়ুন : রবির দুপুরে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে স্বস্তির বৃষ্টি

চক সুলতানের আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলার পর কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা লুকাবাটির চিতলে যান। সেখানে আক্রান্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। সেখানেও রাজ্য পুলিশকে ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়। কারণ, ২ সিভিক ভলান্টিয়ার কেন্দ্রীয়  বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে আক্রান্ত পরিবারগুলোর কথোপকথনের ভিডিও রেকর্ডিং করছিলেন। তা চোখে পড়ে কেন্দ্রীয় দলের। তারা ২ ভলান্টিয়ারকে সেখান থেকে চলে যেতে বলেন। 

আক্রান্তদের সঙ্গে কথা কেন্দ্রীয় দলের সদস্যদের

স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই দুই এলাকার প্রায় ৭০টি পরিবার ঘরছাড়া। একাধিক বাড়িতে ভাঙচুরের পাশাপাশি আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই কাজ করেছে। 

এদিকে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের পরিদর্শন নিয়ে হুগলি জেলা তৃণমূলের সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, শুধু বিজেপি নয়, জেলাতে আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের দলের লোকও। খুনও হয়েছেন। অথচ সেই সব এলাকায় যাচ্ছেন না প্রতিনিধিরা। কেন্দ্রীয় দলের সদস্যদের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন এই তৃণমূল নেতা। 

Advertisement

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement