আগামী কয়েকদিন রাজ্যের সমস্ত জেলাতেই বর্ষার বৃষ্টি চলবে, এমনটাই পূর্বাভাস দিচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। ঘূর্ণাবর্ত ও নিম্নচাপের জোড়া ফলায় এই বৃষ্টি বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। এই কারণে মৎস্যজীবীদের জন্যও সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। উপকূলে সর্বোচ্চ ঘন্টায় ৬০ কিমি বেগে দমকা হাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক আগামী কয়েকদিন কেমন থাকতে চলেছে বাংলার আবহাওয়া।
ঘূর্ণাবর্ত ও নিম্নচাপে দক্ষিণবঙ্গে টানা বৃষ্টি
একদিকে ঝাড়খণ্ডের কাছে একটি ঘূর্ণাবর্তের অবস্থান (যা ৭.৬ কিলোমিটার উপরিভাগ পর্যন্ত রয়েছে), অন্যদিকে মৌসুমী নিম্নচাপ অক্ষরেখা পশ্চিমবঙ্গের ওপর দিয়ে বিস্তৃত। তাই এই দুইয়ের জোড়াফলার প্রভাবে আগামী কয়েকদিন দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলাতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এরইসঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের দু-একটি জেলায় ভারী বৃষ্টিও হবে। হাওয়া অফিস বলছে, আগামী সাতদিন দক্ষিণের সবকটি জেলাতেই হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি
মৌসুমী অক্ষরেখার অনুকূল অবস্থানের কারণে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর জলীয় বাষ্প প্রবেশ করছে তার প্রভাবেই রাজ্য জুড়েই চলবে বৃষ্টি। ঝাড়খন্ড থেকে ক্যানিং পর্যন্ত মৌসুমী অক্ষরেখা বিস্তৃত। সেইকারণে মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়া। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকার কারণে আর্দ্রতা-জনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গের সমস্ত জেলাতেই আগামী ২৪ ঘন্টাতে বা আগামী দু-দিনেও একই রকম ভাবে সর্বত্রই বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কিছুটা হলেও কমতে থাকবে। দক্ষিণবঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জায়গায় ভারী বৃষ্টি হতেও পারে। উতত্রবঙ্গে বৃহস্পতিবার, শুক্রবার ও শনিবার কোনও জেলাতেই ভারী বৃষ্টি কিংবা বজ্রবিদ্যুতের কোনও পূর্বাভাস নেই।
কলকাতার আবহাওয়া
কলকাতা-সহ তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে আগামী ২৪ ঘন্টা বা তারপরেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি।
মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্কতা
গভীর সমুদ্রে যাওয়ার জন্য মৎস্যজীবীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে উপকূলবর্তী অঞ্চলের জন্য কোন সতর্কতা বার্তা নেই, এমনটাই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।