বর্ষার দেখা নেই, তবে স্বস্তি দেবে বৃষ্টি। দক্ষিণবঙ্গে বেশ কিছু জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে আজ। যদিও তাতে তাপমাত্রা খুব একটা পরিবর্তন হবে না। নির্দিষ্ট সময়ের প্রায় সাত দিন আগে বর্ষা ঢুকে গিয়েছে উত্তরবঙ্গের বেশিরভাগ অংশে। কিন্তু দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা এখনও অনিশ্চিত। সাধারণত ১০ জুন বঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করে। তবে এবার তা করছে না। এ ব্যাপারে মোটামুটি নিশ্চিত আবহবিদেরা। ফলে অস্বস্তিকর গরম বাড়বে।
আজ কোন কোন জেলায় বৃষ্টি?
আজ দক্ষিণবঙ্গের ১০ জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়াতে বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে। এই জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হতে পারে। উত্তরবঙ্গের ৬ জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুরে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত হবে, এমনটাই পূর্বাভাস
একইসঙ্গে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, ১১ জুন, বুধবার দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় বৃষ্টি বাড়তে পারে। কিন্ত বর্ষা এসে যাওয়ার কারণে সেটা হবে কি না, তা পরিষ্কার করে বলা হয়নি। তাহলে বর্ষা ঢুকবে কবে?
আবহবিদরা জানিয়েছেন, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বর্তমানে গোটা দেশের কোথাওই সক্রিয় নয়। ২৯ মে-র পর থেকে তা একই জায়গায় থমকে আছে। পশ্চিমবঙ্গ উপকূল থেকে কিছুটা দূরে স্যান্ডহেড পর্যন্ত বর্ষা এসেছে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের দীর্ঘকালীন পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে কিছুদিনের মধ্যে একটি নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার কথা। তার গতিপ্রকৃতির উপরেই নির্ভর করছে বর্ষার আগমন। কিন্তু সেই নিম্নচাপ কবে হবে এবং তার গতিপ্রকৃতি কী হবে, তা নিয়ে মত পার্থক্য আছে।
মনে করা হচ্ছে, ১০ জুনের পর থেকে ১৭ জুনের মধ্যে ওই সিস্টেম তৈরি হতে পারে। তা কিছুটা শক্তি বাড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গ-ওড়িশা উপকূলের দিকেও আসতে পারে।
কিছুদিন ধরে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বিশেষ করে হিমালয় সংলগ্ন এলাকায় অতিবৃষ্টির জেরে কিছুটা দুর্যোগ পরিস্থিতি তৈরি হয়। ঘূর্ণাবর্ত ও নিম্নচাপ অক্ষরেখার অবস্থানের জেরে ওই অতিবৃষ্টি। তবে সেই পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে। উত্তরবঙ্গেও এখন বৃষ্টি কমবে। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, আপাতত রাজ্য জুড়েই বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি মাত্রায় বৃষ্টি হবে। বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকার পাশাপাশি তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য অস্বস্তিকর গুমোট গরম চলবে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, গত কয়েকদিন ধরে প্রচুর মাত্রায় জলীয় বাষ্প ঢুকেছিল দক্ষিণবঙ্গেও। তাপমাত্রা বেড়ে ওই জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হওয়ার কারণে কলকাতা ও সংলগ্ন জায়গায় বড় এলাকা জুড়ে শক্তিশালী বজ্রমেঘ তৈরি হয়েছিল। তার জেরেই এই ভারী বৃষ্টি। এই পরিস্থিতিতে আগামী কয়েকদিন রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রমেঘ তৈরি হয়ে কোথাও কোথাও বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।