Advertisement

সরকারি প্রকল্পের পানীয় জলে মাংসের টুকরো-লোম-দুর্গন্ধ, জামুড়িয়ায় ভয়াবহ ঘটনা

ভিতরে কী আছে দেখার জন্য প্রশাসনের কথা মতো স্থানীয় বাসিন্দারা ওই জলের পাইপ কেটে ফেলেন। পাইপ কাটতেই চক্ষু চড়কগাছ গ্রামবাসীদের। পাইপের মধ্যে থেকে পচাগলা মাংস ছাড়াও বেরিয়ে আসে ১৫ থেকে ১৬ ফুট লম্বা একটি নোংরা আবর্জনার দলা। স্থানীয় সূত্রের খবর, প্রথম দিন বুঝতে না পেরে ওই জলই খেয়ে ফেলেছেন বেশ কয়েকজন। ফলে তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন (Polluted Drinking Water)। এর পরে এই বিষয়টি নিয়ে পিএইচই সিদ্ধপুর বাগডিহা শাখায় জানানো হয়। তবে তাদের আবেদনে কোনও আধিকারিক কর্ণপাত করেননি বলেই দাবি গ্রামবাসীদের।  

প্রতীকী ছবি
Aajtak Bangla
  • পশ্চিম বর্ধমান,
  • 20 Dec 2022,
  • अपडेटेड 12:17 PM IST
  • পানীয় জলে পশুর লোম
  • ভেসে আসছে মাংসও
  • অসুস্থ বেশ কয়েকজন

সরকারি জল প্রকল্পের (Government Water Plant) জলে ভাসছে পশুর লোম, পচাগলা মাংসের টুকরো । যার জেরে সেই পানীয় জল খেতেই পারছেন না স্থানীয়রা। অভিযোগ অন্তত এমনটাই। আর তারই প্রতিবাদে পশ্চিম বর্ধমানের জামুড়িয়ায় (West Burdwan Jamuria) সিদ্ধপুর বাগডিহা জল প্রকল্প দফতরের সামনে গতকাল বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা।

দুর্গন্ধযুক্ত পানীয় জল 
অভিযোগ, বিগত কয়েকদিন ধরেই এই সমস্যার মধ্যে রয়েছেন গ্রামবাসীরা। গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, সরকারি জল প্রকল্পের কল খুললে যে জল পড়ছে, তাতে ভাসছে মাংসের পচাগলা টুকরো। আর শুধু তাই নয়, রয়েছে রক্ত এবং লোমও। সঙ্গে প্রচণ্ড দুর্গন্ধযুক্ত ওই জল। ফলে কোনওভাবেই তা খাওয়া যাচ্ছে না।

পাইপের মধ্যে ভর্তি আবর্জনা
ভিতরে কী আছে দেখার জন্য প্রশাসনের কথা মতো স্থানীয় বাসিন্দারা ওই জলের পাইপ কেটে ফেলেন। পাইপ কাটতেই চক্ষু চড়কগাছ গ্রামবাসীদের। পাইপের মধ্যে থেকে পচাগলা মাংস ছাড়াও বেরিয়ে আসে ১৫ থেকে ১৬ ফুট লম্বা একটি নোংরা আবর্জনার দলা। স্থানীয় সূত্রের খবর, প্রথম দিন বুঝতে না পেরে ওই জলই খেয়ে ফেলেছেন বেশ কয়েকজন। ফলে তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন (Polluted Drinking Water)। এর পরে এই বিষয়টি নিয়ে পিএইচই সিদ্ধপুর বাগডিহা শাখায় জানানো হয়। তবে তাদের আবেদনে কোনও আধিকারিক কর্ণপাত করেননি বলেই দাবি গ্রামবাসীদের।  

বাঁদর ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা
এক্ষেত্রে গ্রামবাসীরা মনে করছেন সম্ভবত কোনও পশু জলের ট্যাঙ্কারের ভিতরে মারা গিয়েছে। তাঁরা আরও জানাচ্ছেন, এলাকায় অনেক বাঁদর রয়েছে। হয়তো কোনও বাঁদরই জলে ডুবে মারা গিয়ে থাকতে পারে। আর এই জন্যই জলে ভেসে আসছে পচাগলা মাংস ও লোম। সঙ্গে দুর্গন্ধ। এক্ষেত্রে যাঁরা ওই জল খেয়ে ইতিমধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তাঁদের স্বাস্থ্য নিয়ে রীতিমতো দুশ্চিন্তায় রয়েছেন গ্রামবাসীরা। প্রসঙ্গত, গ্রীষ্মের মরশুমে বিভিন্ন জায়গা থেকে মেলে জল সঙ্কটের খবর। আর এবার শীতকালে পাওয়া গেল পানীয় জল সংক্রান্ত অভিযোগ। এক্ষেত্রে গ্রামবাসীরা মনে করছেন যদি এটি শীতকালে না হয়ে গরমকালে হত, তাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার নিতে পারত। 

Advertisement

আরও পড়ুন - অনুব্রতকে আজ দুবরাজপুর আদালতে পেশ, দিল্লি নিয়ে যেতে পারবে ED?

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement