দুটি নির্বাচন ঘিরে রাজ্য বিজেপি-তে ব্যস্ততা তুঙ্গে। প্রথমটি রাজ্য সভাপতি নির্বাচন, দ্বিতীয় হল, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন। রাজ্য বিজেপি-র পরবর্তী রাজ্য সভাপতির উপর গুরুদায়িত্ব হল, ছাব্বিশের ভোট। পদে বসেই তাঁর অ্যাসিড টেস্ট। এহেন আবহে আগামী ৩০ মার্চ কলকাতায় রাজ্য বিজেপি-র সঙ্গে বৈঠক করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, ২৯ তারিখ রাতেই কলকাতায় পৌঁছে যাবেন অমিত শাহ।
বাংলা নববর্ষ থেকে জোরদার প্রচার শুরু করে দেবে বিজেপি
রবিবার কলকাতায় রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব প্রায় ৫ ঘণ্টা ধরে মিটিং করেন। বৈঠক শেষে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে আমরা জানিয়েছি যে, রাজ্য সভাপতি নির্বাচনের জন্য আমরা প্রস্তুত। নেতৃত্বের নির্দেশ এলেই প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। ক্যাপ্টেন কে থাকলেন, সেটা বিজেপিতে বড় কথা নয়। বিজেপি নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে এগোয়। সেই লক্ষ্যে পৌঁছনোর চেষ্টা সবাই মিলে করা হয়। বিষয়টা কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দেখে নেবেন। তাঁদের টপকে আমাদের কারও ভাবতে যাওয়ার দরকার নেই।' বিজেপি-র পরবর্তী রাজ্য সভাপতি চূড়ান্ত হয়ে গেলেই বাংলা নববর্ষ থেকে জোরদার প্রচার শুরু করে দেবে বিজেপি। বিধানসভা ভোটের আগে এক মুহূর্তও সময় নষ্ট করতে চান না রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।
কে হতে পারেন পরবর্তী রাজ্য সভাপতি?
রাজ্য সভাপতি হোক, যে কোনও দলীয় উচ্চপদ বা মুখ্যমন্ত্রী পদ, বারবারই চমক দেখিয়েছে বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। পশ্চিমবঙ্গে পরবর্তী রাজ্য সভাপতি বাছাইয়েও চমকের সম্ভাবনা। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সাংগঠনিক জেলার সংখ্যা ৪৩। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ৫০ শতাংশের বেশি (২২টি) জেলায় সভাপতি নির্বাচন হয়ে গেলেই রাজ্য সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করা যায়। ১৪ মার্চ সন্ধ্যায় বিজেপি নেতৃত্ব ঘোষণা করে দিয়েছেন ২৫টি জেলার সভাপতিদের নাম। সুতরাং রাজ্য সভাপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু করতে আর কোনও বাধা নেই।
সুকান্তর আস্থাভাজন ব্যক্তিরাই দায়িত্ব পেয়েছেন
তবে রাজ্য বিজেপি-তে সভাপতি হিসেবে ফের সুকান্তই ফিরতে পারেন, বলেও জল্পনা চলছে। সুকান্তর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, 'অনেক সময় ক্যাপ্টেন বদলে যায়। অনেক সময় একই ক্যাপ্টেন আবার দায়িত্ব পান। কিন্তু লক্ষ্যটা একই থাকে।' ইতিমধ্যে জেলা সভাপতি পদগুলিতে বেশির ভাগই সুকান্তর আস্থাভাজন ব্যক্তিরাই দায়িত্ব পেয়েছেন। ২০২১ সালের শেষ দিকে সুকান্ত রাজ্য সভাপতি হন। ২০২৪ সালের নভেম্বর নাগাদ তাঁর প্রথম মেয়াদ শেষ হয়েছে।