World's Largest Religious Monument in West Bengal: পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) খুব শিগগিরই পেতে চলেছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মন্দির। সর্ববৃহৎ ধর্মীয় সৌধ হিসেবে পরিচয় পেতে চলেছে মায়াপুরের (Mayapur) বৈদিক প্ল্যানেটোরিয়াম (Vedic Planetarium)। ভ্যাটিকানের সেন্ট পলস ক্যাথেড্রাল এবং আগ্রার তাজমহলের চেয়েও বড় হবে এই মন্দির। ২০২৪-র মধ্যে শেষ হয়ে যাবে এই মন্দির স্থাপনের কাজ। ২০২২-এই এর কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল, বাধা হয়ে দাঁড়াল করোনা মহামারী। তাই বছর দুয়েক সময় আরও বাড়ানো হয়।
নদিয়া মায়াপুরের 'টেম্পল অফ বৈদিক প্ল্যানেটোরিয়াম' বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মীয় স্মৃতিস্তম্ভ হতে চলেছে। এখনও পর্যন্ত, কম্বোডিয়ার আঙ্কোরভাট মন্দিরই ছিল সবচেয়ে বৃহৎ। ৪০০ একর জমি জুড়ে বিস্তৃত, ১২ শতকে নির্মিত হয়েছিল এই মন্দির। মায়াপুরের বৈদিক প্লানেটরিয়াম তার চেয়েও বড় হতে চলেছে।
কীভাবে তৈরি হয় মায়াপুরে বৈদিক প্ল্যানেটেরিয়াম?
প্রকৃতপক্ষে, বৈদিক প্ল্যানেটেরিয়াম মন্দিরটি তৈরি ইসকনের প্রতিষ্ঠাতা শ্রীল প্রভুপাদের স্বপ্ন ছিল। এটি ইউএস ক্যাপিটল ভবনের নকশা দ্বারা অনুপ্রাণিত। ১৯৭৬-এর জুলাইয়ে শ্রীল প্রভুপাদ মন্দিরের বাইরের কাঠামোর জন্য এটিকেই বেছে নেন। তিনি যখন ওয়াশিংটনে ছিলেন তখন তিনি বিশাখা মাতাজি এবং যদুবরা প্রভুকে এই ভবনের ছবিও তুলতে বলেছিলেন। ইস্কনের মন্দির হতে চলেছে এর হেড কোয়াটার।
প্রতিটি তলায় ১০ হাজার ভক্ত বসতে পারবেন
এই বৃহৎ প্রকল্পের প্রধান হলেন আলফ্রেড ফোর্ড, যিনি বিখ্যাত ব্যবসায়ী হেনরি ফোর্ডের প্রপৌত্র এবং ফোর্ড মোটর কোম্পানির ভবিষ্যতের মালিক। ইস্কনে যোগদানের পর ১৯৭৫ সালে তিনি তার নাম পরিবর্তন করে অম্বরীশ দাস নাম রাখেন। মায়াপুরকে ইস্কনকে হেড কোয়ার্টারে পরিণত করার জন্য তিনি পরিকাঠামো নির্মাণে ৩০ মিলিয়ন ডলার অর্থ প্রদান করেন।
এই মন্দিরের নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১০ সালে। এই মন্দির নির্মাণে ১০০ মিলিয়ন ডলার খরচ হচ্ছে বলে জানা যায়। জানা যায়, এর প্রতিটি তলায়, ১০ হাজার ভক্ত বসতে পারবেন। একইসঙ্গে প্রার্থনা, গান এবং নাচ করতে পারবেন।
এই মন্দির স্থাপনের উদ্দেশ্য কী?
প্রকৃতপক্ষে, এই মন্দির নির্মাণের উদ্দেশ্য হল, বৈদিক সংস্কৃতি সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করা এবং সচেতন করা। আচার্য প্রভুপাদ এমন একটি মন্দির তৈরি করার কল্পনা করেছিলেন যা বৈদিক জ্ঞান ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করবে।
কাদের জন্য এই মন্দির?
ভগবান কৃষ্ণকে উত্সর্গীকৃত এই বৈদিক প্ল্যানেটোরিয়ামটি সমস্ত ধর্ম, বর্ণ এবং সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। যে কেউ এই মন্দিরে যেতে পারেন, আচার-অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারেন এবং সন্ত কীর্তনে যেতে পারেন। একবার এই মন্দিরের দরজা খুলে গেলে, মন্দিরটি শুধুমাত্র শহরের পর্যটনকেই বাড়িয়ে তুলবে না, এই অঞ্চলের অর্থনীতির প্রসারেও সাহায্য করবে৷ প্রতি বছর ৭০ লক্ষ পর্যটক আসায় মায়াপুর হেরিটেজ সিটির তকমাও পেয়েছে।