করোনাভাইরাসের কারণে গোটা বিশ্বে ত্রাহি ত্রাহি রব। দ্বিতীয় ওয়েবে একেবারে বেহাল ভারতের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। নতুন করে কার্যত শুরু হয়েছে লকডাউন। তবে আগামী দিনে করোনার এই ঘাতক রূপ আর থাকবে না। উল্টে সাধারণ সর্দি-কাশির মতই হয়ে যাবে এই মারণ ভাইরাসটি। এমনটাই বলছে গবেষণা।
Viruses জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণায় এক দশকের মধ্যেই পরিস্থিতি পাল্টে যাবে বলে দাবি করা হয়েছে। গবেষণাটিতে গাণিতিক মডেলগুলির উপর ভিত্তি করেই ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে। যেখানে সময়ের সাথে কীভাবে আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা পরিবর্তিত হয় সে সম্পর্কে দীর্ঘ গবেষণা চলেছে।
আমেরিকার ইউটা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত এবং বায়োলজিক্যাল সায়েন্সের অধ্যাপক ফ্রেড অ্যাডলারের মতে, ' এক দশকের মধ্যেই করোনার তীব্রতা হ্রাস পেতে পারে কারণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে সম্মিলিত ইমিউনিটি তৈরি হয়ে যাবে।'
গবেষণায় দেখা গেছে যে এই রোগের সঙ্গে লড়ার মত ইমিউনিটি মানব দেহে তৈরি হয়ে যাবে,ফলে ভাইরাস নিজেকে বদলালেও তার মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।
এই ভাইরাস গোষ্ঠীর মধ্যে এখন সবচেয়ে আলোচিত নাম SARS-CoV-2। করোনাভাইরাসের অন্যান্য প্রজাতিগুলি মানব জাতির পক্ষে আর ততটা বিপজ্জনক নয়।
উনবিংশ শতকে মহামারি সৃষ্টি কারী 'রাশিয়ান ফু্লর' সঙ্গে করোনাভাইরাসের অন্যান্য গোষ্ঠীর মিল রয়েছে বলে উঠে এসেছে গবেষণায়। সেরকমি SARS-CoV-2 থেকে শিক্ষা নিয়ে শরীরে ইমিউনিটি গড়ে উঠছে বলেই মনে করছেন একাধিক বিজ্ঞানী।
মহামারির শুরুতে আমাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা ভাইরাসটি সম্পর্কে অবগত ছিল না। গবেষণা বলছে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে অনেকেরই কিছুটা প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠেছে।