ISRO Eos 06: ইসরোর (ISRO) আর্থ অবজারভেশন স্যাটেলাইট- 6 (EOS-6) কে ওসিয়ানস্যাট-৩থ্রি নামেও ডাকা হয়। এই স্যাটেলাইট নিজের ওশিয়ান কালার মনিটর ক্যামেরায় পৃথিবীর ছবি নিয়েছে। ইসরো এই ছবি জুড়ে তাতে পৃথিবীর নকশা তৈরি করে ফেলেছে।
এই নকশা ফলস কালার কম্পোজিট মোজাইক। যেটি ২৯৩৯ ছবি জুড়ে বানানো হয়েছে। এই ছবির প্রসেস করার পর ইসরোকে ৩০০ জিবি ডেটা খুঁজে বের করতে হয়েছে। এই ছবি ১ থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নেওয়া হয়েছে।
এখানে যে রং দেখা যাচ্ছে, তা ১৩ টি আলাদা আলাদা ওয়েভ লেন্সের প্রকাশ কিরণের কারণে এটি এমন দেখাচ্ছে। এর মধ্যে গোটা দুনিয়ার জঙ্গলের কভার, মাটি এবং সমুদ্রের বায়োস্ফিয়ারের ডিটেল দেখা যাচ্ছে। যদিও এই রঙের বিষয়টি বোঝা সাধারণ লোকের পক্ষে সম্ভব নয়। বৈজ্ঞানিকদের পক্ষে এটা বোঝা অত্যন্ত সহজ।
ইউএস-৬ অর্থাৎ ওপেন সেট থ্রি সমুদ্র এলাকায় ক্লোরোফিল, ফাইটো প্ল্যাঙ্কটন, এয়ারোসল এবং দূষণের খোঁজ করে। এটি এই সিরিজের তৃতীয় স্যাটেলাইট। এটি শ্রী হরিকোটার সতীশ ধবন স্পেস সেন্টার থেকে লঞ্চপ্যাড রকেট এর সাহায্যে ছাড়া হয়েছিল।
ইউএস ৬ প্রাইম এক হাজার কেজি ওজনের স্যাটেলাইট ওসিয়ানসেট ওয়ান, প্রথমবার ১৯৯৯ সালে লঞ্চ করা হয়েছিল। দ্বিতীয় স্যাটেলাইট ২০০৯ সালে আন্তরীক্ষে স্থাপন করা হয়।
এর মাঝে স্ক্যাটস্যাট-১ (SCATSAT-1) পাঠানো হয়েছিল। কারণ ওসিয়ানসেট একটু বেকার হয়ে গিয়েছিল। ওসিয়ানসেটের বিষয়ে বলা হচ্ছে যে এটির মাধ্যমে সমুদ্রের সীমাতে নজরদারিও করা সম্ভব।
ওশিয়ান সেট থ্রির প্রস্তুতি নিয়ে ইসরোর সাইন্টিস্টরা কিছু বলতে চাইছেন না। এজন্য এর মধ্যে স্ক্যাটসেট লঞ্চ করা হয়েছে। এর মধ্যে এই টেকনিক লাগানো হয়েছে যে ওসিয়ানসেটের খামতি এটি পুরো করে দিতে পারে।
যতটুকু দূর পিএসএলভি এক্সেল রকেটের কথা বলা হচ্ছে, তা এটি ৩২০ টন ওজনের, উচ্চতা ৪৪.৪ মিটার এবং ব্যাস ২.৮ মিটার। এই রকেটে একাধিক স্যাটেলাইট আলাদা আলাদা অরবিটে লঞ্চ করা সম্ভব।