Covid-এর কারণে গোটা বিশ্ব এখন চিন্তিত। ভারতও তার ব্য়তিক্রম নয়। এদেশে দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। তারই মধ্যে পাওয়া গেল খারাপ খবর। গবেষকরা সন্ধান পেলেন করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের।
এই ভ্যারিয়েন্টের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা-সহ একাধিক দেশে। গবেষকদের একাংশের মতে, এই ভ্যারিয়েন্ট আগেরগুলোর থেকেও শক্তিশালী। ফলে ভ্যাকসিন কাজে দেবে কি না তা নিয়ে আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন বিজ্ঞানীরা।
দক্ষিণ আফ্রিকার National Institute for Communicable Diseases বা NICD-র দাবি, গত মে মাসে C.1.2 ভ্যারিয়েন্টের সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর তা ছড়িয়ে পড়ে ইংল্যান্ড, কঙ্গো, নিউজিল্যান্ড, পর্তুগালের মতো দেশে। ওই দেশগুলিতে অগাস্টে এই ভ্যারিয়েন্টের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল।
এই ভ্যারিয়েন্টকে নিয়ে কেন চিন্তিত গবেষকরা? তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ভ্যারিয়েন্টের ছড়িয়ে পড়ার শক্তি আগের ভ্যারিয়েন্টগুলোর থেকে অনেক বেশি। আর তাই এটি বেশি মাত্রায় ছড়িয়ে পড়লে ভ্যাকসিন কাজ নাও করতে পারে।
গবেষকদের চিন্তায় ফেলেছে এই ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণের হার। তাঁরা জানাচ্ছেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় এই ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। মে মাসে সংক্রমণের হার ছিল মাত্র ০.২ শতাংশ। সেখানে জুলাইয়ে এই হার ছাড়িয়েছে ২ শতাংশ।
গবেষকদের একাংশের আরও দাবি, এই ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণযোগ্য হতে পারে এবং দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। যেহেতু স্পাইক প্রোটিনে অনেকগুলি মিউটেশন রয়েছে, তাই এটি প্রতিরোধ ক্ষমতা থেকে রক্ষা পেতে পারে।
এক্ষেত্রে উপায়? মহামারি বিশেষজ্ঞদের দাবি, ভ্যাকসিনেশন ও করোনা সতর্কতার উপর জোর দিতেই হবে। ভ্যাকসিন এই ভ্যারিয়েন্টের জন্য কাজ না করলেও সতর্কতা মেনে চললে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যাবে।