প্রায় বছর তিনেক আগে সৌরমণ্ডলে আসে এলিয়েন রক। মহাকাশে প্রদক্ষিণ করে চলেছে সেই পাথরটি। কিছুদিন আগে হার্বার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক এভি লোয়েব বলেন, এটি একটি এলিয়েন প্রযুক্তি, যা আমাদের সৌরমণ্ডলে প্রদক্ষিণ করছে। এবার এই বিষয়ে আরও একটি নয়া তত্ত্ব। জানা যাচ্ছে, প্লুটো (Alien Pluto) থেকে এসেছে এই পাথরটি। বৈজ্ঞানিকদের দাবি, আমাদের সৌরমণ্ডলে প্রদক্ষিণরত এটাই প্রথম পাথর যা অন্য জায়গা থেকে এসেছে। (ছবি-গেট্টি)
এটা কোনও উল্কাপিন্ড নয়। আমাদের সৌরমণ্ডলে আসা এই অতিথির নাম ওউমুয়ামুয়া (Oumuamua)। প্রথমে বৈজ্ঞানিকরা ভেবেছিলেন এটা কোনও গ্রহাণু হতে পারে। কিন্তু এখন যে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে সেই অনুযায়ী এটি একটি এলিয়েন প্রযুক্তি। এটি প্লুটো থেকে এসেছে।
এটিকে এলিয়েন প্রযুক্তি করা হচ্ছে কারণ এটি ধীরে ধীরে সরছে, যেন এটিকে কেউ ধাক্কা দিচ্ছে। তবে প্রথম দিকে কয়েক মাস এটি স্থির ছিল। কিন্তু এমনটা কেন হচ্ছে তা এখনও নিশ্চিতভাবে বুঝে উঠতে পারেননি বৈজ্ঞানিকরা। এলিয়েন প্লুটোর তত্ত্বটি সম্প্রতি জার্নাল অফ জিয়োফিজিক্যাল রিসার্চে প্রকাশিত হয়েছে।
অধ্যাপক এভি লোয়েবের দাবি, বস্তুটিকে একটি এলিয়েন মেশিন আকর্ষণ করছে। নয়তো একে সৌর বিকিরণ অর্থাৎ সোলার রেডিয়েশন নিজের দিকে আকর্ষণ করছে।
যদিও কোনও কোনও বিজ্ঞানী মনে করছে নিজের থেকেই অবস্থান বদলাচ্ছে বস্তুটি। কারণ এর চারপাশে সবসময় হাইড্রোজেন বিস্ফোরণ হচ্ছে। ফলে লাগাতার গতি ও দিক পরিবর্তন করছে বস্তুটি।
তবে দ্য অ্যাস্ট্রোফিজিকাল জার্নাল লেটর্সে এভি লোয়েব ও থিয়েম হোয়াং হাইড্রোজেন বিস্ফোরণের তত্ত্ব খারিজ করে দিয়েছেন। তাঁদের মতে আমাদের সৌরমণ্ডলে এলিয়েনদের আগমণ সম্ভব।
শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাকাশ বিজ্ঞানী ডেরিল সেলিগম্যান বলছেন, যে ওউমুয়ামুয়া গ্রহাণুর মতোই এসেছিল। তবে এর পিছনে কোনও লেজ নেই, আলোও নেই। তাই এটা যে আমাদের সৌরমণ্ডলে
ওউমুয়ামুয়ার ১৩০০ থেকে ২৬০০ ফুট লম্বা বলে মনে করা হচ্ছে। এটি খুবই ধীর গতিতে ঘুরছে।
আরও একটি তত্ত্ব অনুযায়ী, ওউমুয়ামুয়া ৪০ লক্ষ বছরের পুরনো। এর গতিবিধ ও আকার দেখে এমনটাই মনে করা হচ্ছে। তবে বিষয়টি নিয়ে বিশ্বব্যাপী মহাকাশ বিজ্ঞানীদের মধ্যে আলোচনা ও তর্ক বিতর্ক জারি রয়েছে।