ভারতীয় সেনাবাহিনী অবশেষে পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে ৯টি জঙ্গি শিবির ধ্বংস করে অপারেশন সিঁদুর সম্পন্ন করেছে।
রাত ১.৩০ মিনিটে ৯টি সন্ত্রাসী আস্তানায় সফলভাবে আক্রমণ করে ভারতীয় বিমান বাহিনী পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার প্রতিশোধ নিয়েছে।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর এই বিশেষ অভিযানের নামকরণ করা হয়েছিল অপারেশন সিঁদুর। ভারতীয় বিমান বাহিনী জইশ-ই-মহম্মদ, হিজবুল মুজাহিদিন এবং লস্কর-ই-তৈবার ঘাঁটি ধ্বংস করেছে, এই অভিযানটি রাত ১:৩০ মিনিটে পরিচালিত হয়েছিল।
জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলিও ধ্বংস করা হয়েছে। এই অভিযানে ভারতীয় সেনাবাহিনী কোনও পাকিস্তানি অসামরিক বা পাকিস্তানি সামরিক ঘাঁটিতে আক্রমণ করেনি।
এই অভিযানে, ভারতীয় সেনাবাহিনী কেবল তিনটি শহর বাহাওয়ালপুর, কোটলি এবং মুজাফ্ফরাবাদে জঙ্গিদের আস্তানাগুলিকেই লক্ষ্য করে। অপারেশন সিঁদুরে, ভারতীয় সেনাবাহিনী বাহাওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদের সদর দফতর ধ্বংস করে।
পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার প্রতিশোধ নিতে, ভারতীয় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনী যৌথভাবে পাকিস্তানে জঙ্গি শিবিরগুলিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ব্যক্তিগতভাবে অভিযানটি পর্যবেক্ষণ করেন। ৯টি লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল। ৯টি লক্ষ্যের মধ্যে ৯টিই অর্জিত হয়েছে।
ভারতীয় হামলায় জইশ-ই-মোহাম্মদের সদর দফতর ধ্বংস হয়ে গেছে। ভারতীয় বিমান বাহিনী হিজবুল মুজাহিদিনের এ ঘাঁটি ধ্বংস করতেও সফল হয়েছে।
কুখ্যাত জঙ্গি মাসুদের মাদ্রাসায় হামলা হয়েছে।
বলা হচ্ছে যে বাহাওয়ালপুরে ২৫০ জনেরও বেশি জঙ্গি উপস্থিত ছিল। ভারতের বিমান হামলায় অনেক জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।
ভারতের পদক্ষেপ সঠিক ছিল। যাদের উপর হামলা করা হয়েছিল তারা জঙ্গি ছিল। পাকিস্তানের কোনও অসামরিক, অর্থনৈতিক বা সামরিক স্থাপনা লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়নি।
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং বিদেশমন্ত্রী মার্কো রুবিওকে বলেছেন যে শুধুমাত্র জঙ্গি শিবিরগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
ভারতের বিমান হামলার পর পাকিস্তানে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
যেদিন পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলা হয়েছিল, সেদিন থেকেই বিশ্বের ধারণা ছিল যে ভারত জঙ্দিদের মোকাবেলা করবে। এই হামলার ঠিক ১৫ দিন পর, বুধবার রাত ১.৩০ মিনিটে ভারত 'অপারেশন সিঁদুর'-এর আওতায় পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (পিওকে) ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালায়।
বাহাওয়ালপুর, মুরিদকে, শিয়ালকোট, বাগ, কোটলি এবং মুজাফফরাবাদ এলাকায় এই হামলা চালানো হয়।
ভারতীয় সেনাবাহিনী স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে লক্ষ্য ছিল কেবল জঙ্গি ঘাঁটি এবং কোনও পাকিস্তানি সামরিক ঘাঁটিতে আক্রমণ করা হয়নি।