Advertisement

Russia Ukraine War : 'রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্ব বাড়ালে মূল্য চোকাতে হবে,' ভারতকে হুঁশিয়ারি আমেরিকার

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমেরিকা, ইউরোপীয় দেশ, অস্ট্রেলিয়া ও জাপান পুতিন প্রশাসনের ওপরে কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও, রাশিয়ার হামলার সমালোচনাও করেনি ভারত। এমনকি ভারত জাতিসংঘে রাশিয়ার হামলার নিন্দা প্রস্তাবে ভোটদান থেকেও দূরত্ব বজায় রেখেছ। ভারত বারেবারেই বলেছে হিংসা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত এবং উভয় পক্ষেরই কূটনৈতিকভাবে মতপার্থক্যের সমাধান করা উচিত। ভারত ইউক্রেনে মানবিক সাহায্য পাঠিয়েছে। আবার আগের মতোই রাশিয়া থেকে তেল আমদানিও অব্যাহত রেখেছে।

জো বাইডেন ও নরেন্দ্র মোদী (বামদিক থেকে)
Aajtak Bangla
  • দিল্লি,
  • 07 Apr 2022,
  • अपडेटेड 12:23 PM IST
  • ভারতকে হুঁশিয়ারি আমেরিকার
  • রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্ব না বাড়ানোর প্রস্তাব
  • নিরপেক্ষ অবস্থানে এখনও অনড় ভারত

Russia Ukraine War : রাশিয়া ইস্যুতে ভারতের অবস্থানে বিশেষভাবে হতাশ আমেরিকা। বারবার চাপের পরেও ভারত যখন রাশিয়ার প্রতি নিরপেক্ষ অবস্থান বদল করেনি, তখন কার্যত হুমকির রাস্তা বেছে নিল আমেরিকা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ভারত যদি রাশিয়ার সঙ্গে জোট করে, তাহলে বড় মূল্য চোকাতে হবে। ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুসারে, প্রেসিডেন্ট জো বাডেনের শীর্ষ অর্থনৈতিক উপদেষ্টা (হোয়াইট হাউস জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের পরিচালক) ব্রায়ান ডিজ বলেছেন যে, মার্কিন প্রশাসন রাশিয়ার সঙ্গে মিত্রতার বিরুদ্ধে ভারতকে সতর্ক করেছে। তিনি আরও বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ নিয়ে ভারতের কিছু প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র হতাশ। 

বুধবার আন্তর্জাতিক সংবাদ ওয়েবসাইট ক্রিশ্চিয়ান সায়েন্স মনিটর আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ব্রায়ান ডিজ সাংবাদিকদের বলেন, "যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে অনেক ঘটনা ঘটেছে যেখানে আমরা চিন ও ভারত উভয়ের সিদ্ধান্তে হতাশ হয়েছি।" তিনি আরও জানান যে, আমেরিকা ভারতকে বলেছে, যদি তারা রাশিয়ার সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও বাড়ায়, তবে তার দীর্ঘমেয়াদী পরিণতি ভোগ করতে হবে। 

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমেরিকা, ইউরোপীয় দেশ, অস্ট্রেলিয়া ও জাপান পুতিন প্রশাসনের ওপরে কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও, রাশিয়ার হামলার সমালোচনাও করেনি ভারত। এমনকি ভারত জাতিসংঘে রাশিয়ার হামলার নিন্দা প্রস্তাবে ভোটদান থেকেও দূরত্ব বজায় রেখেছ। ভারত বারেবারেই বলেছে হিংসা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত এবং উভয় পক্ষেরই কূটনৈতিকভাবে মতপার্থক্যের সমাধান করা উচিত। ভারত ইউক্রেনে মানবিক সাহায্য পাঠিয়েছে। আবার আগের মতোই রাশিয়া থেকে তেল আমদানিও অব্যাহত রেখেছে।

রাশিয়া ইস্যুতে ভারত-আমেরিকা আলাদা পথ
ভারত ও আমেরিকা গত কয়েক দশক ধরে খুবই কাছাকাছি এসেছে এবং দুই দেশের মধ্যে সামরিক সম্পর্কও যথেষ্ট মজবুত হয়েছে। চিনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমেরিকা ভারতের পাশে থেকেছে এবং বহুবার ভারতের পক্ষে বিবৃতি দিয়েছে।

Advertisement

চিনের মোকাবিলায় ভারতেরও আমেরিকার সমর্থন প্রয়োজন। কিন্তু আমেরিকা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ভারতের নিরপেক্ষ ও স্বাধীন অবস্থানে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। আমেরিকা প্রতিটি স্তরে ভারতের সঙ্গে কথা বলে অবস্থান বদলানোর চেষ্টা করেছে। অনেক আমেরিকান কর্মকর্তাও ভারতে এসেছেন, কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। 

গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের উপ-জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা দলিপ সিংও ভারত সফর করেন। সেইসময় দলিপ ভারতকে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক না রাখার আহ্বানও জানান। রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে বুধবার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান, আমেরিকা এবং বাকি জি -৭ দেশগুলি ভারতের সঙ্গে তাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে এবং এর জন্য যথাসম্ভব প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে। ওই আধিকারিক আরও বলেন যে, ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খাদ্য সুরক্ষা এবং বিশ্ব শক্তির ক্ষেত্রে অত্যন্ত বন্ধু। 

আমেরিকা বলছে ভারত যেন রাশিয়ার সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক না রাখে এবং তার তেল ও প্রতিরক্ষা অস্ত্রের উপর নির্ভরতা বন্ধ করে দেয়। পরিবর্তে আমেরিকা ভারতকে অস্ত্র ও তেল সরবরাহ করবে। কিন্তু আমেরিকার এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে পাকিস্তান ও চিনকে মোকাবেলা করার জন্য ভারতের রাশিয়ান অস্ত্র দরকার এবং যে দেশগুলি অস্ত্র দেওয়ার কথা বলছে সেগুলি খুবই ব্যয়বহুল।

আরও পড়ুনবাগনানে পথদুর্ঘটনায় মৃত দাদু-নাতি, আরামবাগে উল্টে গেল বাস

 


 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement