পাকিস্তানের উন্নতির কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। বকরি ইদ উপলক্ষে তারা আবারও কাশ্মীরের প্রসঙ্গ তুলে ধরেছে। পাক সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির শনিবার নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) লাগোয়া পোস্টগুলি পরিদর্শন করেছেন। সেখানে মোতায়েন সেনাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মিডিয়া শাখা ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশন (আইএসপিআর)-র এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে জেনারেল মুনির সেনাদের মনোবল, যুদ্ধ প্রস্তুতি এবং সতর্কতার প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন যে তাদের বকরি ইদে প্রিয়জনদের থেকে দূরে থাকা তাঁদের জাতীয় সেবাকে সর্বোচ্চ বিবেচনা করার প্রতীক। বিবৃতি অনুসারে, জেনারেল মুনির সাম্প্রতিক সংঘর্ষের কথা উল্লেখ করে দাবি করেছেন যে পাকিস্তান ভারতকে 'যোগ্য জবাব' দিয়েছে। মুনিরের মন্তব্য ভারতের সাম্প্রতিক সামরিক অভিযানের সরাসরি প্রতিক্রিয়া বলে মনে করা হচ্ছে।
কাশ্মীর নিয়ে আবারও পুরনো সুর
জেনারেল মুনির আবারও কাশ্মীরের বিষয়টি তুলে ধরেছেন। তিনি পাকিস্তানের তথাকথিত 'নীতিগত অবস্থান' পুনর্ব্যক্ত করেন এবং কাশ্মীরি জনগণের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেন। জিও টিভি জানিয়েছে, মুনির বলেন, 'কাশ্মীরি জনগণের ন্যায্য ও সাহসী সংগ্রাম কখনই ভোলা যাবে না। জম্মু ও কাশ্মীর বিরোধের সমাধান সেখানকার জনগণের আকাঙ্ক্ষা এবং রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রাসঙ্গিক প্রস্তাব অনুসারে করা উচিত।'
এটিই প্রথমবার নয় যে পাকিস্তান ধর্মীয় বা সামরিক অনুষ্ঠানে কাশ্মীর সমস্যা তুলেছে। প্রকৃতপক্ষে, কাশ্মীর পাকিস্তানের পররাষ্ট্র নীতিতে একটি স্থায়ী হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে যখন তারা অভ্যন্তরীণ সঙ্কট বা আন্তর্জাতিক চাপের মুখোমুখি হয়।
ভারতের স্পষ্ট অবস্থান
ভারত বারবার স্পষ্ট করে বলেছে যে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ সর্বদা ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনোভাবও এখন আগের চেয়ে আরও ভারসাম্যপূর্ণ এবং ভারতের অবস্থানের পক্ষে বলে মনে হচ্ছে। পহেলগাম আক্রমণ এবং ভারতের প্রতিশোধ ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা আবারও ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বাড়িয়ে তোলে। এই হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হন। এর পর ৭ মে ভারত পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি আস্তানাগুলিতে সুনির্দিষ্ট আক্রমণ চালায়। চার দিন ধরে সীমান্ত এলাকায় দুই দেশের মধ্যে সামরিক সংঘর্ষ অব্যাহত থাকে। অবশেষে, ১০ মে উভয় দেশের মধ্য়ে সংঘর্ষবিরতি হয়।