Advertisement

India Pakistan Clash: ভারত-পাক সংঘর্ষের সুযোগ লাইভ অস্ত্র পরীক্ষা করেছে চিন, কতটা সফল হয়েছিল?

চিনের অস্ত্রগুলি লাইভ পরীক্ষা করা হয়েছিল ভারত পাক সংঘর্ষের সময়ে। 'অপারেশন সিঁদুর'-এর প্রেক্ষাপটকে যেন লাইভ গবেষণাগার হিসেবে তৈরি করে ফেলেছিল জিনপিংয়ের দেশ।

প্রতীকী ছবি প্রতীকী ছবি
Aajtak Bangla
  • বেজিং,
  • 22 Nov 2025,
  • अपडेटेड 2:27 PM IST
  • ভারত পাক সংঘর্ষের সময়ে চিনা অস্ত্রের লাইভ পরীক্ষা
  • 'অপারেশন সিঁদুর'-এর প্রেক্ষাপট যেন লাইভ গবেষণাগার
  • কতটা সফল হয়েছে জিনপিংয়ের দেশ?

সাম্প্রতিক কালের একটি আমেরিকান প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, চিন ২০২৫ সালের মে মাসে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলা সংঘাতকে তাদের নতুন সামরিক অস্ত্র পরীক্ষা এবং প্রচারের জন্য কাজে লাগিয়েছিল। প্রতিবেদনে এ-ও বলা হয়েছে, চিন তার অস্ত্রের শক্তি প্রদর্শনের সুযোগ কাজে লাগিয়েছে কিন্তু সরাসরি সংঘাতে জড়ায়নি। 

মার্কিন কংগ্রেসের একটি কমিটি, আমেরিকা-চিন ইকনমিক সিকিউরিটি রিভিউ কমিশন দ্বারা প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চিন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ৪ দিনের সংঘর্ষকে অস্ত্র পরীক্ষার একটি লাইভ গবেষণাগার হিসেবে ব্যবহার করেছে। এর ফলে চিন তার অস্ত্র সম্পর্কে বাস্তব তথ্য পেয়েছিল। যা বিশ্বের দরবারে প্রচারের ক্ষেত্রে কাজে লেগেছে জিনপিংয়ের দেশের। 

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বেজিং তার অস্ত্রের শক্তি এবং ক্ষমতা পরীক্ষা ও প্রচারের জন্য এই সংঘাতকে কাজে লাগিয়েছে। এটি ভারতের সঙ্গে চিনের সীমান্ত বিরোধ এবং তার ক্রমবর্ধমান প্রতিরক্ষা শিল্পে উচ্চাকঙ্খার জন্য কার্যকর হয়েছিল। 

সংঘাত কীভাবে শুরু হয়েছিল?
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাত ৭ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত চলেছিল। জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে এক সন্ত্রাসী হামলার কারণেই শুরু হয়েছিল এই সংঘাত। যেখানে ২৬ জন নাগরিককে নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছিল। ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তানি হ্যান্ডলারদের দিকে নিশানা করেছিল এবং শুরু করেছিল 'অপারেশন সিঁদুর'। ভারত এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (PoK) সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিগুলিতে হামলা চালায়। 

পাকিস্তান ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার জবাব দেয় কিন্তু ভারত সেগুলির পাল্টা জবাব দেয়। অবশেষে ১০ মে সংঘর্ষবিরতি ঘোষণা করে দুই দেশ। এটি ছিল কয়েক বছরের মধ্যে দুই পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সবচেয়ে তীব্র সংঘাত। 

চিনের অস্ত্র পরীক্ষা 
প্রতিবেদন অনুসারে, এই প্রথমবারের মতো চিনের উন্নত অস্ত্র যেমন HQ-9 বিনাব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, PL-15 সারফেস টু সারফেস নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র এবং J-10 যুদ্ধবিমান ঝালিয়ে নেওয়া হয়। এর ফলে চিন বাস্তব জীবনে এই অস্ত্রগুলি পরীক্ষা করার সুযোগ পায়। মার্কিন প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়, ২০২৫ সালের জুন মাসে চিন পাকিস্তানের কাছে ৪০টি J-35 পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান. KJ-500 বিমান এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছিল। সংঘর্ষের পর চিনা দূতাবাসগুলি প্রকাশ্যে তাদের অস্ত্রের সাফল্যের কথা প্রচার করে। ভারত-পাক সংঘর্ষে চিনা অস্ত্রগুলি ভাল পারফর্ম করেছে বলে উল্লেখ করা হয়। মার্কিন-চিন অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা পর্যালোচনা কমিশনের ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, গত মে মাসে নিজেদের অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্রের সম্ভার পরীক্ষা চালিয়েছে বেজিং। 

Advertisement

কিন্তু চিন কি এই পরীক্ষায় ‘সফল’? ওয়াকিবহাল মহলের মতে, অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তান মুখ থুবড়ে পড়ে। যা চিনের জন্য খুব বেশি উৎসাহব্যঞ্জক নয়। 
 

 

Read more!
Advertisement
Advertisement