খোঁজ মিলছিল না চেলসির প্রাক্তন ফুটবলারের। বাড়ছিল উদ্বেগ। যা আশঙ্কা ছিল তাই হল। ধ্বংসস্তুপ থেকে উদ্ধার করা হল ঘানার জাতীয় দলের ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ান আতসুকে। রবিবার স্থানীয় সময় মধ্যরাতে ভয়ঙ্কর ঝটকায় কেঁপে উঠেছিল তুরস্কের একাংশ। সেই ঘটনার পর থেকেই কার্যত নিখোঁজ ছিলেন এই ফুটবলার। সোমবার রাতে ওই ফুটবলারকে উদ্ধার করেছেন উদ্ধারকারীরা। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে বাড়ি ধসে যাওয়ার জেরে পায়ে চোট পেয়েছেন তিনি। ভর্তি করা হয়েছে স্থানীয় হাসপাতালে।
রবিবারের পর থেকেই তুরস্কে এখন শুধু কান্নার রোল। উদ্ধারের কাজ চলছে। তারমধ্যে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। ইতিমধ্যেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত-আমেরিকার মতো দেশগুলি। সে দেশে পৌঁচ্ছে গিয়েছেন ভারতীয় উদ্ধারকারীরা।
প্রায় একই অবস্থা সিরিয়াতেও। সেখানেও জোড়কদমে চলছে উদ্ধারের কাজ। এদিকে ঘানার এই ফুটবলারের খোঁজ নিয়েছে তাঁর দেশের ফুটবল সংস্থাও। আফ্রিকার এই দেশ থেকে লোক আসছে, এই পরিস্থিতিতে আস্তুকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে। আতসুকে খুঁজে না পেয়ে সেই আতঙ্কও তৈরি হচ্ছিল সমর্থকদের মনে। শেষ পর্যন্ত উদ্ধার করা গিয়েছে তাঁকে। চোট রয়েছে আতসুর। ঘানার ফুটবলার আতসু। ইংল্যান্ডের দুই ক্লাব চেলসি এবং নিউক্যাসলে খেলেছেন তিনি। আতসু এখন খেলেন তুরস্কের ক্লাব হাতায়স্পরে। সেই ক্লাবটি অবস্থিত কাহরামানমারাস এলাকায়, যেখানে ভূমিকম্পের প্রভাব মারাত্মক। ৩১ বছরের ফুটবলার আটকে পড়েন সেখানে।
শুধু আতসু নন, ওই ক্লাবের স্পোর্টিং ডিরেক্টর তানের সাভুটও আটকে পড়েছিলেন। আতসুকে পাওয়া গেলেও তাঁর খোঁজ এখনও চলছে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত সোমবারের ভূমিকম্পের জেরে প্রায় ৪০০০ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল মাটি থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার গভীরে। সোমবার স্থানীয় সময় অনুযায়ী ভোরে ৪টে নাগাদ কেঁপে ওঠে তুরস্ক এবং সিরিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা। রিখটার স্কেলে সেই কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৮।