Advertisement

India Pakistan Tensions: ভারতের ড্রোন হামলায় ধ্বংস পাকিস্তানের ডিফেন্স সিস্টেম, কল্পনাতীত ক্ষতি, কেন?

বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের ১০টি শহরে ড্রোন হামলা হয়েছে। এই হামলায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর শিয়ালকোট এবং লাহোরে এয়ার ডিফেন্স ইউনিটগুলি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে। সূত্র আরও জানিয়েছে যে চিনে তৈরি HQ-9 মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম ইউনিটগুলিতে আঘাত করা হয়েছিল। যার ফলে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কার্যকরভাবে প্রতিরক্ষাহীন হয়ে পড়েছে।

ভারতের ড্রোন হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্স ইউনিটভারতের ড্রোন হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্স ইউনিট
Aajtak Bangla
  • নতুন দিল্লি,
  • 08 May 2025,
  • अपडेटेड 3:39 PM IST
  • ড্রোন হামলায় পাকিস্তানি সেনা সদর দফতরের ৯টি মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম ইউনিটের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে
  • HQ-9 মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম ইউনিটগুলিতে আঘাত করা হয়েছিল

অপারেশন সিঁদুরের জবাবে ভারতের ১৫টি সামরিক টার্গেটে হামলা চালানোর চেষ্টা করে পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার পাল্টা জবাবে পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি স্থানে এয়ার ডিফেন্স রাডার ও সিস্টেম ধ্বংস করে দিয়েছে ভারত। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের অন্তত ১০টি শহরে ড্রোন হামলা হয়েছে। এই হামলায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর শিয়ালকোট এবং লাহোরে এয়ার ডিফেন্স ইউনিটগুলি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সূত্র আরও জানিয়েছে যে চিনে তৈরি HQ-9 মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম ইউনিটগুলিতে আঘাত করা হয়েছিল। যার ফলে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কার্যকরভাবে প্রতিরক্ষাহীন হয়ে পড়েছে। সূত্রমতে, ড্রোন হামলায় পাকিস্তানি সেনা সদর দফতরের ৯টি মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম ইউনিটের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। রয়টার্স এবং স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, লাহোরে আচমকা সাইরেন বেজে ওঠে। তারপর লোকজন তাঁদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে। ওয়ালটন বিমানবন্দরের কাছে একের পর এক বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে যে লোকজন আতঙ্কে তাঁদের ঘর থেকে বেরিয়ে আসছেন এবং ধোঁয়ার মেঘ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বিবৃতি জারি করে বলেছে,  'আজ সকালে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি স্থানে এয়ার ডিফেন্স রাডার এবং সিস্টেমগুলিকে টার্গেট করেছে। একইভাবে পাকিস্তানকে জবাব দিয়েছে। লাহোরে একটি এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ধ্বংস করা হয়েছে।' বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে, ৭ এবং ৮ মে মধ্যরাতে পাকিস্তান ড্রোন এবং মিসাইল ব্যবহার করে ভারতের অবন্তীপুরা, শ্রীনগর, জম্মু, পাঠানকোট, অমৃতসর, কাপুরথলা, জলন্ধর, লুধিয়ানা, আদমপুর, ভাটিন্ডা, চণ্ডীগড়, নাল, ফালোদি, উত্তরলাই এবং ভূজ-সহ উত্তর ও পশ্চিম ভারতের বেশ কয়েকটি সামরিক স্থানে আক্রমণ করার চেষ্টা করেছিল। এই আক্রমণগুলিকে ইন্টিগ্রেটেড কাউন্টার ইউএএস গ্রিড ও এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম দ্বারা নিষ্ক্রিয় করা হয়েছিল। এই আক্রমণগুলির ধ্বংসাবশেষ এখন বেশ কয়েকটি স্থান থেকে উদ্ধার করা হচ্ছে, যা পাকিস্তানি আক্রমণের প্রমাণ।'

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, পাকিস্তান জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়ারা, বারামুল্লা, উরি, পুঞ্চ, মেন্ধার এবং রাজৌরি সেক্টরে মর্টার এবং হেভি ক্যালিবার আর্টিলারি ব্যবহার করে নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে বিনা উস্কানিতে গুলিবর্ষণের তীব্রতা বাড়িয়েছে। পাকিস্তানি গুলিবর্ষণের ফলে তিনজন মহিলা, পাঁচজন শিশু সহ ১৬ জন নিরীহ প্রাণ হারিয়েছে। এখানেও ভারত প্রতিক্রিয়া জানাতে বাধ্য হয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন

লাহোরের যে এলাকায় ড্রোন হামলাটি হয়েছে সেটি অভিজাত ও লাহোর সেনা ক্যান্টনমেন্ট সংলগ্ন। স্থানীয় প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে শিয়ালকোট, করাচি এবং লাহোর বিমানবন্দরে বিমান চলাচল সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। পুলিশ সূত্র সামা টিভিকে জানিয়েছে যে বিস্ফোরণটি ৫-৬ ফুট মাপের একটি ড্রোনের কারণে হতে পারে। সূত্র জানিয়েছে, সিস্টেম জ্যাম করে ড্রোনটি ফেলা হয়েছিল। এখনো পর্যন্ত কোনও হতাহত বা বেসামরিক কাঠামোর ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

বুধবার ভারতের সেনাবাহিনী ও ভারতীয় বিমান বাহিনী (আইএএফ) পাকিস্তানের নিষিদ্ধ সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ (জেইএম) এবং লস্কর-ই-তইবার (এলইটি)-র ৯টি ঘাঁটিতে হামলা চালায়। এই অপারেশনের নাম 'অপারেশন সিঁদুর'। সূত্র জানিয়েছে, রাফাল জেট ব্যবহার করে আইএএফ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। সেনাবাহিনীও একই সঙ্গে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। সূত্র জানিয়েছে, এই নির্ভুল হামলায় পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে ১০০ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে। তবে সরকার বলেছে যে কোনও পাকিস্তানি সামরিক কাঠামোতে আক্রমণ করা হয়নি এবং সাধারণ নাগরিকদের প্রাণহানি রুখতে নির্বাচিত স্থানগুলি আক্রমণের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল।

Read more!
Advertisement
Advertisement