Advertisement

Tensions in Los Angeles: দাঙ্গা-আগুন-লুঠপাট, জ্বলছে লস অ্যাঞ্জেলস, ঠিক কেন এই পরিস্থিতি?

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-অশান্তিতে তপ্ত হয়ে রয়েছে আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলস। এবার সেখানে নামানো হল আমেরিকার সেনার মেরিনবাহিনীকে। প্রায় ৭০০ মেরিনকে মোতায়েন করা হচ্ছে সেখানে। পরিস্থিতি সামলাতে ২ হাজার ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়েছিল। এবার আরও ২ হাজার ন্যাশনাল গার্ড পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

লস অ্যাঞ্জেলসে উত্তেজনা।লস অ্যাঞ্জেলসে উত্তেজনা।
Aajtak Bangla
  • লস অ্যাঞ্জেলস,
  • 10 Jun 2025,
  • अपडेटेड 10:53 AM IST
  • ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-অশান্তিতে তপ্ত হয়ে রয়েছে আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলস।
  • এবার সেখানে নামানো হল আমেরিকার সেনার মেরিনবাহিনীকে।
  • আরও ২ হাজার ন্যাশনাল গার্ড পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-অশান্তিতে তপ্ত হয়ে রয়েছে আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলস। এবার সেখানে নামানো হল আমেরিকার সেনার মেরিনবাহিনীকে। প্রায় ৭০০ মেরিনকে মোতায়েন করা হচ্ছে সেখানে। পরিস্থিতি সামলাতে ২ হাজার ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়েছিল। এবার আরও ২ হাজার ন্যাশনাল গার্ড পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

অভিবাসন নিয়ে কী বলেছিলেন ট্রাম্প?

২০২৪ সালে নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্প নির্বাসনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। রোজ ৩ হাজার বেআইনি অভিবাসীকে গ্রেফতার করে বিতাড়িত করার লক্ষ্য ছিল ট্রাম্পের। আমেরিকা-মেক্সিকো সীমান্ত বন্ধ করাও ট্রাম্পের লক্ষ্য ছিল। অবৈধ অভিবাসীদের রুখতে কঠোর পদক্ষেপের কথা আগেই জানিয়েছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। সেই পদক্ষেপের মধ্যে ছিল কর্মস্থল বা আদালত চত্বরের মতো স্পর্শকাতর জায়গায় অভিযান চালানো। ট্রাম্প  বলেছিলেন যে, ডেমোক্র্যাটিক প্রদেশ ক্যালিফোর্নিয়ায় অবৈধ অভিবাসীদের আশ্রয় দেওয়া হয়, যা দেশের জন্য বিপজ্জনক।

কেন অশান্ত লস অ্যাঞ্জেলস?

অভিবাসন দমন এজেন্সি বা আইসিই সূত্রে খবর, গত শুক্রবার একটি কর্মস্থলে অভিযান চালিয়ে ৪৪ জন বেআইনি অভিবাসীকে গ্রেফতার করা হয়। ওই দিন গ্রেটার এলএ-তেও আরও ৭৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এই অভিযান ট্রাম্পের নয়া অভিবাসন নীতির অংশ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এর পরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে লস অ্যাঞ্জেলস। ঘটনার প্রতিবাদে পথে নামেন বৈধ নথি না থাকায় অভিযুক্ত অভিবাসীরা। 

ফেডারেল ডিটেনশন সেন্টারের সামনে জড়ো হন হাজার হাজার বিক্ষোভকারী। হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। ধৃতদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে চলে অবস্থান বিক্ষোভ। সেখানে পুলিশ বাধা দিতেই পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যায়। পুলিশের অভিযোগ, তাঁদের দিকে ইট ছুড়তে শুরু করে উন্মত্ত জনতা। একাধিক গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। বিভিন্ন দোকানে চলে অবাধে লুটপাট। পাল্টা বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, বিনা প্ররোচনাতেই নিরস্ত্র জনতার উপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ছোড়া হয় টিয়ার গ্যাস। 

Advertisement

অভিযানের পর, লস অ্যাঞ্জেলেস শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত ফেডারেল ভবনটি বিক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।  ওই ভবনে ধৃতদের রাখা হয়েছে বলে সন্দেহ করা হয়।শনিবারও বিক্ষোভ অব্যাহত ছিল। যার জেরে ট্রাম্প প্রশাসন লস অ্যাঞ্জেলস এলাকায় ২ হাডার ন্যাশনাল গার্ড সদস্য মোতায়েন করেন।

উল্লেখ্য, লস অ্যাঞ্জেলস ক্যালিফোর্নিয়ার একটি শহর। ট্রাম্প একজন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট। কিন্তু লস অ্যাঞ্জেলসে ট্রাম্পের প্রতিপক্ষ একজন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির গভর্নর। ডেমোক্র্যাটিক গভর্নর গ্যাভিন নিউসম বলেছেন, হিংসায় উস্কানি দেওয়া,   বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা, বিরোধীদের গ্রেফতার করা কোনও প্রেসিডেন্টের কাজ নয়, স্বৈরাচারী শাসকের কাজ। অন্য দিকে, রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায়  ট্রাম্প বিক্ষোভকারীদের 'হিংসাত্মক, বিদ্রোহী জনতা' বলে অভিহিত করেছেন। 

Read more!
Advertisement
Advertisement