Advertisement

Nepal Plane Crash: ১৬ বছর আগে বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু স্বামীর, এবার শেষ হল কো-পাইলট অঞ্জুর 'স্বপ্নের উড়ান' 

এদিন সফল অবতরণের পরই ক্যাপ্টেন হওয়ার কথা ছিল অঞ্জুর। কিন্তু তা আর হল না। স্বামীর মতোই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল তাঁর।

কো-পাইলট অঞ্জজু।কো-পাইলট অঞ্জজু।
Aajtak Bangla
  • দিল্লি ,
  • 15 Jan 2023,
  • अपडेटेड 9:58 PM IST
  • এদিন সফল অবতরণের পরই ক্যাপ্টেন হওয়ার কথা ছিল অঞ্জুর।
  • কিন্তু তা আর হল না। স্বামীর মতোই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল তাঁর।

এদিন সফল অবতরণের পরই ক্যাপ্টেন হওয়ার কথা ছিল অঞ্জুর। কিন্তু তা আর হল না। স্বামীর মতোই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল তাঁর। রবিবার নেপালে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে। অবতরণের আগেই বিমানটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। বিমানটিতে ৬৮ জন যাত্রীসহ মোট ৭২ জন আরোহী ছিলেন। যার মধ্যে ৫ জন ভারতীয়ও রয়েছেন। বিধ্বস্ত বিমানের কো-পাইলট অঞ্জু খাতিবাদারেরও কো-পাইলট হিসেবে এটাই ছিল শেষ ফ্লাইট। আজ নিরাপদ অবতরণ করে অধিনায়ক হওয়ার কথা ছিল অঞ্জুর। এ জন্য সিনিয়র পাইলট ও প্রশিক্ষক কামাল কেসির সঙ্গে ফ্লাইটে গিয়েছিলেন তিনি।

একজন পাইলট হওয়ার জন্য কমপক্ষে ১০০ ঘন্টা ওড়ার অভিজ্ঞতা প্রয়োজন। এর আগেও নেপালের প্রায় সব বিমানবন্দরে কো-পাইলট অঞ্জু সফলভাবে অবতরণ করেছিলেন। আজ পোখারা যাওয়ার সময় ক্যাপ্টেন কেসি তাকে প্রধান পাইলটের আসনে বসান। আজ, সফল অবতরণের পর, অঞ্জু প্রধান পাইলটের লাইসেন্স পেতেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত মাত্র ১০ সেকেন্ডের দূরত্বে সমস্ত স্বপ্ন এবং ইচ্ছা ধোঁয়ায় মিলিয়ে গেল। 

তথ্য অনুযায়ী, পাইলট হিসেবে ক্যাপ্টেন কামাল কেসির অভিজ্ঞতা ছিল ৩৫ বছরের। কেসি অতীতেও অনেক পাইলটকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন এবং তার দ্বারা প্রশিক্ষিত পাইলটরা আজ সফল পাইলট হিসাবে পরিচিত। নেপালে বিমান এবং হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার সংখ্যা সম্পর্কে কথা বলতে গেলে, এখন পর্যন্ত মোট ১০৪টি দুর্ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে ৯৬টি যাত্রীবাহী বিমান এবং ৮টি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা রয়েছে।

আরও পড়ুন

১৬ বছর আগে স্বামীও বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন অঞ্জুর। তাঁর স্বামী দীপক পোখারেলও ইয়েতি এয়ারলাইন্সে কো-পাইলট হিসাবে পদে ছিলেন। ১৬ বছর আগে অর্থাৎ ২১ জুন, ২০০৬-এ ইয়েতি এয়ারলাইন্সের বিমান দুর্ঘটনায় অঞ্জুর স্বামী ছিলেন সহ-পাইলট। নেপালগঞ্জ থেকে সুরখেত যাওয়ার সময় জুমলা যাওয়ার সময় ইয়েতি এয়ারলাইন্সের 9N AEQ বিমানটি যখন বিধ্বস্ত হয় তখন অঞ্জুর স্বামী কো-পাইলট ছিলেন। 

ইয়েতি এয়ারলাইন্সের ATR-72 বিমান কাঠমান্ডু থেকে পোখরার উদ্দেশে যাচ্ছিল। ৭২ আসনের এই বিমানটিতে ৬৮ জন যাত্রী ও চারজন ক্রু ছিলেন, অর্থাৎ মোট ৭২ জন। বিমানটি পোখারার কাছে পৌঁছেছিল যে অবতরণের মাত্র ১০ সেকেন্ড আগে এটি বিধ্বস্ত হয়। নেপালের মিডিয়ার মতে, পোখারার পুরনো অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর এবং পোখারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মধ্যে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। বেলা ১১টা ১০ মিনিটে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

Advertisement

 

Read more!
Advertisement
Advertisement