
আন্তর্জাতিক মঞ্চে ফের কাঁদুনি গাইছে পাকিস্তান। চাইছে জল ভিক্ষা।
আসলে পেহেলগাঁও জঙ্গিহানার পর থেকেই সিন্ধু জলচুক্তি বাতিল করে দিয়েছে ভারত। যার ফলে পাকিস্তানের একটা বড় অংশ এখন জলকষ্টতে ভুগছে। এমন পরিস্থিতিতেই আবার কাঁদুনি গাইছে পাকিস্তান। তাঁরা রাষ্ট্রসঙ্ঘে নিজেদেরকে ভিক্টিম করে সারা পৃথিবীর সামনে তুলে ধরছে। ভারতের উপর করছে দোষারোপ। সেই সঙ্গে আবার সিন্ধু জলচুক্তি ফিরিয়ে আনার জন্য কাতর অনুরোধও করছে। আর শেহবাজ শরিফের দেশের এহেন অদ্ভুত কীর্তিই আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের আলোচনার বিষয়।
পেহেলগাঁও জঙ্গিহানার পরই শুরু হয় বিরোধ
বছরের পর বছর ধরে ভারতের মাটিতে জঙ্গিহানা চালিয়ে আসছে পাকিস্তান। এই এপ্রিল মাসেও তারা ভারতে জঙ্গি হামলা চালায়। সেই হামলায় প্রাণ হারান ২৬ জন ভারতীয়। আর এই জঙ্গিহানার পরই পাকিস্তানের উপর ক্ষেপে যায় মোদী সরকার। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বাতিল করা হয় সিন্ধু জল চুক্তি। সেই কারণেই পাকিস্তানের অবস্থা একবারে খারাপ হয়ে গিয়েছে।
যদিও এই চুক্তি বাতিলের পর থেকেই কাঁদুনি গাইতে শুরু করে শেহবাজ, মুনিরের দেশ। এখন আবার তারা সেই চুক্তি নতুন করে শুরু করতে চাইছে। পাশাপাশি তারা গোটা বিশ্বের কাছে ভারতের সম্পর্কে নিন্দাও করে। তাদের মতে, মোদী সরকার অন্যায়ভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা কোনওভাবেই এই কাজটা করতে পারে না। এতে একটা বড় অংশের মানুষ সমস্যায় পড়ছে, প্রকৃতি ধ্বংস হচ্ছে বলেও জানায় তারা।
আবার কাঁদুনি গাইছে পাকিস্তান
রাষ্ট্রসঙ্ঘে পাকিস্তানের স্থায়ী সদস্য অসীম ইফতিকার আহমেদ আবার সিন্ধু জল চুক্তি নিয়ে কাঁদুনি গেয়েছে। তিনি ইউনাইডেট নেশনশে বলেন, 'ভারত বেআইনিভাবে একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি মূল ভবানার বিরোধী। এর ফলে তথ্যের ভাগাভাগিও বন্ধ হয়ে যায়। এটি জলের উৎসের উপর নির্ভরশীল লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে। এই ধরনের কর্মকাণ্ড শুধুমাত্র একটি দেশের ক্ষতিই করে না, আন্তর্জাতিক জল আইনকেও ক্ষুন্ন করে।'
আসলে এই চুক্তি করা হয় ১৯৬০ সালে। এই চুক্তি অনুযায়ী সিন্ধু, ঝিলাম এবং চেনাব নদীগুলিকে কন্ট্রোল করতে পারত পাকিস্তান। অপরদিকে রবি, ব্যাস এবং সুতলেজকে কন্ট্রোল করতে পারত ভারত। যদিও বর্তমানে ভারত এই চুক্তি থেকে বেরিয়ে এসেছে। মোদী সরকার জানিয়েছে, রক্ত এবং জল একসঙ্গে বইতে পারে না। পাকিস্তানকে কোনও একটা বেছে নিতে হবে। তাই সিন্ধু জলচুক্তি হয়েছে স্থগিত।
জল নিয়ে ভিক্ষে চেয়েছে পাকিস্তান
শেষে আবার অসীম ইফতিকার অনুরোধের সুরে বলেন, 'এই চুক্তির বিষয়ে ভারত একতরফা সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। আমরা আশা করি ভারত এই চুক্তিকে মান্যতা দেবে। যার ফলে আবার স্বাভাবিক প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে।'