ভারতের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসার ইচ্ছাপ্রকাশ করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। কাশ্মীর, সন্ত্রাসবাদ, জলচুক্তি, বাণিজ্য-সহ দুই দেশের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে ভারতের সঙ্গে কথা বলার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। পহেলগাঁও হামলা এবং তার পরবর্তী ভারতের অপারেশন সিঁদুরের পর দুই দেশের সংঘর্ষবিরতি চলছে। এই প্রেক্ষাপটে এবার ভারতের সঙ্গে প্রথমবার শান্তি আলোচনায় বসার কথা জানালেন পাক প্রধানমন্ত্রী।
ইরানের তেহরানে পাক প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, 'আমরা সমস্ত বিবাদ মেটাতে চাই। কাশ্মীর ইস্যু, জল সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে মেটাতে চাই। বাণিজ্য ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আমাদের প্রতিবেশীর সঙ্গে কথা বলতে প্রস্তুত।'
প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গি হামলায় ২৫ জন পর্যটক ও এক কাশ্মীরির মৃত্যুতে ফুঁসে ওঠে গোটা দেশ। তার পরই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক স্তরে একাধিক পদক্ষেপ করে ভারত। জঙ্গি হামলার বদলা নেওয়ার দাবি ওঠে গোটা দেশে। গত ৭ মে মধ্যরাতে পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও পাকিস্তানের ৯টি জায়গায় জঙ্গি শিবির গুঁড়িয়ে দেয় ভারত। যে অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে অপারেশন সিঁদুর। ভারতের এই অভিযানে পর্যদুস্ত হয় পাকিস্তান। তার পরই সীমান্ত ঘেঁষা ভারতের একাধিক শহরকে নিশানা করে হামলা চালানোর চেষ্টা করে পাকিস্তান। কিন্তু ইসলামাবাদের সব চক্রান্ত বানচাল করে মোক্ষম জবাব দেয় ভারত। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় সময় অনুযায়ী বিকেলে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন যে, ভারত ও পাক সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয়েছে। তার পর পরই বিদেশ মন্ত্রকের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে জানানো হয়, পাকিস্তানের আবেদনে সাড়া দিয়ে সংঘর্ষ বিরতিতে রাজি হয়েছে ভারত।
জাতীর উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সাফ জানিয়েছেন, পাকিস্তানের কার্যকলাপের উপর সর্বদা নজর রাখা হবে। নিউক্লিয়ার ব্ল্যাকমেল ভারত সহ্য করবে না। পাশাপাশি, মোদী এ-ও জানিয়েছেন, পাকিস্তান আলোচনার টেবিলে এলে পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং সন্ত্রাসবাদ নিয়েই কথা বলতে হবে।