বুদ্ধ জয়ন্তীর পুণ্যদিনেই নেপাল সফরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নেপালে বিখ্যাত বৌদ্ধ তীর্থস্থান লুম্বিনিতে গিয়ে মোদীর বার্তা, ভারত ও নেপাল সম্পর্ক আরও মজবুত হবে। আজ অর্থাত্ সোমবার নেপালে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বললেন, নেপালকে বাদ দিয়ে ভগবান রামও অসম্পূর্ণ।
আরও পড়ুন: PM Narendra Modi Visit Nepal : 'প্রতিবেশীর পাশে,' বুদ্ধ পূর্ণিমায় নেপাল সফরে মোদী
ভারত-নেপাল সম্পর্কের দৃঢ়তার উপরে জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতে রাম মন্দির তৈরি হচ্ছে। এই ঘটনায় ভারতীয়রা যতটা খুশি, ততটাই খুশি নেপালের জনগণও। মোদীর কথায়, 'জনকপুরে আমি বলেছিলাম, নেপাল ছাড়াও আমাদেরও রামও অসম্পূর্ণ। আমি জানি, ভারতে রাম মন্দির নিয়ে নেপালের জনতাও সমান ভাবে খুশি।'
প্রসঙ্গত, নেপালের জনকপুরকে সীতার জন্মস্থান হিসেবে মানা হয়। রামায়ণ অনুযায়ী, জনকপুরেই জন্মেছিলেন রামের স্ত্রী সীতা। মোদী আরও বললেন, 'সারনাথ, বুদ্ধগয়া ও কুশীনগর থেকে নেপালের লুম্বিনি, এই জায়গাগুলি দুই দেশের পারস্পরিক ঐতিহ্যের বাহক।'
মোদী বলেন, বহু তীর্থক্ষেত্রের দেশ নেপাল। বুদ্ধপূর্ণিমার দিন নেপালের মায়াদেবী মন্দিরে পুজো দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই স্থানটিই বুদ্ধের জন্মস্থান হিসাবে পরিচিত। সোমবার নেপালের প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবার সঙ্গে লুম্বিনীতে যান মোদী। সেখানে বুদ্ধমন্দিরে পুজো দেওয়ার পাশাপাশি, বৌদ্ধ সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি। সোমবার দেউবার সঙ্গে ছবি টুইট করে মোদী লিখেছেন, 'বন্ধুত্বের চিরন্তন বন্ধন...!'
এদিন মহামায়াদেবীর মন্দিরে পুজো দিয়ে অশোকা পিলারের সামনে প্রদীপ জ্বালান মোদী। ২৪৯ খ্রিস্টপূর্বাব্দে সম্রাট অশোক এই স্তম্ভ তৈরি করেছিলেন। মোদী আরও বলেন, 'নেপালে লুম্বিনি জাদুঘর নির্মাণ দুই দেশের মধ্যে যৌথ সহযোগিতার একটি উদাহরণ। এবং আজ আমরা লুম্বিনি বৌদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ে বৌদ্ধ অধ্যয়নের জন্য ডক্টর আম্বেদকর চেয়ার প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।'