প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের হেলিকপ্টার টার্গেট করেছিল ইউক্রেন- দাবি রাশিয়ার। সেদেশের সামরিক বাহিনীর কমান্ডারের মতে, ২০ মে ইউক্রেন যে ড্রোন হামলা চালিয়েছিল, তার মূল লক্ষ্য ছিল রুশ প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টার। তবে অল্পের জন্য তিনি রক্ষা পান।
টানা তিন বছর ধরে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত চলছে। প্রায় রোজই একে অপরের উপর হামলা চালাচ্ছে দুই দেশ। কিন্তু দেশের প্রেসিডেন্টের উপর হামলার অভিযোগ এই প্রথম।
রাশিয়ার এয়ার ডিফেন্স ডিভিশনের কমান্ডার ইউরি দাশকিন জানান, ২০ মে পুতিন ক্রুস্ক ওবলাস্টে সফরে গিয়েছিলেন। একটি MI-17 হেলিকপ্টারে করে যাচ্ছিলেন। ঠিক সেই সময়েই ইউক্রেন ড্রোন হামলা চালায়।
রাশিয়ার দাবি, প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টার টার্গেট করেই ড্রোন থেকে হামলা করা হয়েছিল। তবে, রুশ সেনাবাহিনীর তৎপরতায় সেই হামলা ভেস্তে যায়।
সামরিক বাহিনীর কমান্ডার ইউরি দাশকিন বলেন, 'একদিকে আমরা ইউক্রেনের ড্রোন হামলার পাল্টা জবাব দিচ্ছিলাম, অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট পুতিনের হেলিকপ্টারের নিরাপত্তাও সুনিশ্চিত করছিলাম।'
যদিও রাশিয়ার এই দাবি নিয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি ইউক্রেন।
২০ মে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ক্রুস্ক ওবলাস্টের সফরে যাচ্ছিলেন। একটি MI-17 হেলিকপ্টারে করে যাচ্ছিলেন তিনি। ঠিক সেই সময় ইউক্রেন বড়সড় ড্রোন হামলা চালায়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সঙ্গে সঙ্গে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম লাগু করে রাশিয়া। রুশ সেনার দাবি, ৪৬টিরও বেশি ড্রোন গুলি করে নামানো হয়।
এর পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে গত রাতেই ইউক্রেনের উপর যুদ্ধের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিমান হামলা চালায় রাশিয়া। একসঙ্গে ৪০০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ছোঁড়া হয় ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে। এই তীব্র হামলায় এখনও পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে জ়াইটোমিরে তিন শিশু রয়েছে। আহত বহু মানুষ।
এই আক্রমণের শিকার হয়েছে ইউক্রেনের রাজধানী কিভ ছাড়াও খারকিভ, মাইকোলাইভ, টার্নোপিল এবং খমেলনিত্সকি শহর। ইউক্রেনের বিমান বাহিনী ২৬৬টি ড্রোন এবং ৪৫টি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে পারলেও বহু অ্যাপার্টমেন্ট এবং পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে।
এই হামলার মধ্যেই ইউক্রেন ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে যাতে শান্তি আলোচনার পথ খুলে যায়। এর পাশাপাশি, রাশিয়া ও ইউক্রেন হাজার-হাজার যুদ্ধবন্দিকে একে অপরের কাছে হস্তান্তর করেছে বলেও খবর মিলেছে।