Advertisement

এক ডোজের দাম ২৮.৫১ কোটি টাকা! এটিই বিশ্বের সবচেয়ে দামী ওষুধ

আমেরিকার ফেডারেল ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) বিশ্বের সবচেয়ে দামি ওষুধের অনুমোদন দিল। দাম জানলে অবাক হবেন। এই ওষুধের একটি ডোজের দাম ২৮. ৫১ কোটি টাকা। এই ওষুধটি খুব বিরল রোগ হিমোফিলিয়া বি-এর চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। ওষুধের নাম হেমজেনিক্স। যখন কারও শরীরে রক্ত ​​জমাট বাঁধার প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায়, তখন তার শরীর থেকে রক্তপাত বন্ধ হয় না।

drugdrug
Aajtak Bangla
  • নিউইয়র্ক,
  • 25 Nov 2022,
  • अपडेटेड 6:06 PM IST
  • আমেরিকার ফেডারেল ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) বিশ্বের সবচেয়ে দামি ওষুধের অনুমোদন দিল।
  • দাম জানলে অবাক হবেন।
  • এই ওষুধের একটি ডোজের দাম ২৮. ৫১ কোটি টাকা।

আমেরিকার ফেডারেল ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) বিশ্বের সবচেয়ে দামি ওষুধের অনুমোদন দিল। দাম জানলে অবাক হবেন। এই ওষুধের একটি ডোজের দাম ২৮. ৫১ কোটি টাকা। এই ওষুধটি খুব বিরল রোগ হিমোফিলিয়া বি-এর চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।  ওষুধের নাম হেমজেনিক্স। যখন কারও শরীরে রক্ত ​​জমাট বাঁধার প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায়, তখন তার শরীর থেকে রক্তপাত বন্ধ হয় না। 

ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার দাবি, এই ওষুধের মাত্র এক ডোজ নিলেই হিমোফিলিয়া রোগীরা পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবেন। ওষুধটি এমনভাবে স্বীকৃত হয়নি। এটি নিয়ে দুটি গবেষণা করা হয়েছে। ৫৪ জন রোগীর ওপর এই ওষুধের পরীক্ষা হয়েছে। যারা হিমোফিলিয়া-বি মাঝারি থেকে গুরুতর স্তরের রোগী ছিলেন। হেমজেনিক্স নেওয়ার পরে সমস্ত রোগীদের মধ্যে অনিয়ন্ত্রিত রক্তপাত অর্ধেকেরও বেশি কমে গেছে। তবে ওষুধটির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে। 

হিমোফিলিয়া এক ধরনের রক্তক্ষরণজনিত রোগ। যা বংশানুক্রমে বাহিত হয়। মানুষের শরীরের কোনও স্থানে কেটে গেলে রক্ত জমাট বাঁধার জন্য বিশেষ কিছু ব্যবস্থা আছে। রক্ত জমাট বাঁধার এই প্রক্রিয়ায় অণুচক্রিকার সঙ্গে একাধিক ফ্যাক্টর বা উৎপাদক কাজ করে। এসবের মধ্যে বিশেষ দুটি উপাদানের উৎপাদনের মাত্রা হ্রাস পেলে রক্ত জমাট বাঁধতে সমস্যা হয়। আর এই পরিস্থিতিতে একেবারে হালকা আঘাতে অথবা বিনা কারণেও রক্তক্ষরণ শুরু হতে পারে, যাকে হিমোফিলিয়া বলা হয়।

আরও পড়ুন

হিমোফিলিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের শরীরে মাত্র একবার এই ওষুধ প্রয়োগ করা হলে তা এক বছরের বেশি সময়ের মধ্যে ৫৪ শতাংশ রক্তপাত হ্রাস করতে পারে। হেমজেনিক্স নিয়ে চালানো বড় পরিসরের এক গবেষণায় ওই তথ্য উঠে এসেছে।

এফডিএ'র সেন্টার ফর বায়োলজিক্স ইভালুয়েশন অ্যান্ড রিসার্চের পরিচালক পিটার মার্কস বলেন, হিমোফিলিয়ার চিকিৎসার জন্য জিন থেরাপি নিয়ে কাজ চলছে দুই দশক ধরে। এখন কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যাচ্ছে। কারণ এটি এমন একটি রোগ যা যেকোনও মানুষের জীবন নষ্ট করে দিতে পারে। 

Advertisement

 

Read more!
Advertisement
Advertisement