গত ২ বছরে আমেরিকা ও চিনসহ নানা দেশের বিজ্ঞানীরা মহাকাশ থেকে আসা রহস্যময় রেডিও সংকেতের কথা বলে আসছেন। তবে এবার যা হল তা রীতিমতো অবাক করার মতো। এবার ব্রহ্মাণ্ড থেকে আসা রেডিও সংকেত রেকর্ড করল ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির (MIT) বিজ্ঞানীরা। এই সংকেত টানা ৩ সেকেন্ডে পাওয়া গেছে। এতক্ষণ ধরে সংকেত এর আগে কোনওদিন পাওয়া যায়নি। বিজ্ঞানীদের দাবি, এই সংকেত তীব্র ও রহস্যময়।
মহাকাশ বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এই সংকেত রেডিও তরঙ্গের বিস্ফোরণের মতো। MIT বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত করেছেন, এই সংকেতটি প্রতি 0.২ কেকেন্ড অন্তর তিন সেকেন্ড ধরে আসছিল। অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে কোথাও থেকে এই সংকেত পাঠানো হচ্ছে। আবার কোনও কোনও বিজ্ঞানী এও মনে করছেন, হয়তো পৃথিবীর দিকে এগিয়ে আসছে এই সংকেত।
আরও পড়ুন : ২ বছর পর একুশে ফিরছে 'ডিম্ভাত', পাতে আরও কী কী?
নেচার জার্নালে এসব রেডিও সিগন্যাল নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এই রেডিও তরঙ্গগুলি কানাডিয়ান হাইড্রোজেন ইনটেনসিটি ম্যাপিং এক্সপেরিমেন্ট (CHIME) রেকর্ড করেছিল।
CHIME এই রেডিও সংকেতগুলি ফেব্রুয়ারী থেকে ২১ ডিসেম্বর, ২০১৯- এর মধ্যে ধরা পড়েছিল৷ সেই সময়, মিচিলি এই রেডিও সংকেতগুলি অধ্যয়ন করছিলেন। মিচিলি বলেন, এগুলো খুবই অদ্ভুত রেডিও সিগন্যাল। সংকেতগুলো ৩ সেকেন্ডের বেশি সময় ছিল না। তবে ওই সময়ের মধ্যেই যে সংকেত পাঠিয়েছিল তা খুবই শক্তিশালী।
আরও পড়ুন : মহিলাকে অন্তর্বাস খুলে ঢুকতে হল পরীক্ষা-হলে! তোলপাড় কেরল
এই রেডিও বার্স্টের নাম দেওয়া হয়েছে FRB20191221A। এটি দীর্ঘতম রেকর্ড করা রেডিও সংকেত। এখন পর্যন্ত, বিজ্ঞানীরা এফআরবি বা ফাস্ট রেডিও বার্স্ট কীভাবে উদ্ভূত হয়েছে তা বুঝে উঠতে পারেননি। যদিও অনেকে বিশ্বাস করছেন, এই সংকেতের জন্ম রেডিও পালসার বা ম্যাগনেটার থেকে। একটি ম্যাগনেটার তৈরি হয় যখন দুটি নিউট্রন নক্ষত্রের সংঘর্ষে একটি নতুন তারা তৈরি হয়।
ড্যানিয়েল মিচিলি বলেন, যে জায়গা থেকে রেডিও সিগন্যাল আসছে সেটি আর একটি গ্যালাক্সি। এটি পৃথিবী থেকে লক্ষ লক্ষ আলোকবর্ষ দূরে। তিনি আরও জানিয়েছিলেন, মহাকাশে এমন অনেক বস্তু রয়েছে যেগুলি এমন সংকেত তৈরি করতে সক্ষম। কিন্তু এখনও এই নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলা যায় না। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, এই সংকেতের রহস্য সমাধান করতে পারলে বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের নতুন রহস্য হয়তো উদঘাটিত হবে।