US updates travel advisory for India: 'ধর্ষণ-সন্ত্রাস বাড়ছে ভারতে, একা যাবেন না', আমেরিকার মহিলাদের সতর্ক করল ট্রাম্প প্রশাসন

ধর্ষণ ও হিংসা অপরাধ নিয়ে উদ্বেগ
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের ভাষায়, 'ভারতে ধর্ষণ সবচেয়ে দ্রুত বেড়ে চলা অপরাধগুলির মধ্যে একটি। হিংস্র অপরাধ, বিশেষ করে যৌন নির্যাতনের ঘটনা বারবার পর্যটন কেন্দ্র এবং ভিড়ভাট্টা এলাকায় ঘটছে।' ফলে মহিলাদের একা ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছে তারা। এ ছাড়া, মার্কেট, সরকারি ভবন, রেলস্টেশন, বাসস্ট্যান্ড, মল—সব জায়গায় সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সন্ত্রাস ও রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়েও সতর্কতা
সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, ভারতে সন্ত্রাসবাদীদের হামলা অনেক সময় 'সতর্কতা ছাড়াই' ঘটে যেতে পারে। জম্মু ও কাশ্মীর, ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত এলাকার ১০ কিমি ব্যাসার্ধ, মণিপুর, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কিছু রাজ্যকে ‘উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল’ বলে বিবেচনা করা হয়েছে।

এছাড়াও, বলা হয়েছে — 'পূর্ব মহারাষ্ট্র থেকে শুরু করে উত্তর তেলেঙ্গানা, বিহার, ছত্তীসগড়, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ এবং মেঘালয়ের মতো রাজ্যে মাওবাদী বা নকশাল হুমকি রয়েছে। এই অঞ্চলগুলোতে মার্কিন সরকারি কর্মকর্তাদের যেতে হলে বিশেষ অনুমতি নিতে হবে, শুধুমাত্র রাজ্যের রাজধানী ছাড়া।'

প্রযুক্তি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা
বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, সতর্কবার্তায় স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে — ভারতে স্যাটেলাইট ফোন বা জিপিএস ডিভাইস বহন করা আইনত অপরাধ, যার ফলে ২ লক্ষ মার্কিন ডলার পর্যন্ত জরিমানা অথবা তিন বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

সীমান্তবর্তী এলাকায় ভ্রমণ ঝুঁকিপূর্ণ
ভারত-নেপাল সীমান্ত সংলগ্ন অঞ্চলগুলিতে অনুপ্রবেশজনিত জটিলতা এবং গ্রেপ্তার বা জরিমানার ঝুঁকি থাকায় সেসব স্থান এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া
এই ভ্রমণ পরামর্শ প্রকাশ্যে আসতেই কেন্দ্রীয় সরকারের ভাবমূর্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। কংগ্রেস মন্তব্য করেছে — 'এটাই কি ‘সুরক্ষিত ভারত’-এর বাস্তব চিত্র? ধর্ষণ, সন্ত্রাস ও হিংসার জন্য বিদেশি পর্যটকদের সতর্ক করা হচ্ছে, যা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে।'