
স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) বিষ ওষুধের বিরুদ্ধে অবিলম্বে এবং সমন্বিত পদক্ষেপ করার আহ্বান জানালো। কাশির সিরাপের কারণে গতবছর বেশ কয়েকটি শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল। তারপরই হু এই পদক্ষেপ করে। গাম্বিয়ায় ৬৬ শিশুর মৃত্যুর জন্য ভারতে তৈরি সর্দি-কাশির সিরাপের (Maiden Cough Syrup) দিকে আঙুল উঠেছে আগেই। সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)।
ওই ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলে যেমন মাথা নত হয়েছে, তেমনই প্রশ্ন উঠছে সর্দি-কাশির সিরাপ প্রস্তুতকারী সংস্থাকে ঘিরেও। সেই আবহে জানা গেল, সিরাপ প্রস্তুতকারী একটি সংস্থা ছাড়পত্রের জন্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষার মধ্যে দিয়েই যায়নি। ব্যবহারের আগে ওই সিরাপের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ সংক্রান্ত কোনও নথি বা প্রমাণই দেখাতে পারেনি তারা।
গাম্বিয়ায় (Gambia) শিশুমৃত্যুর (Children Death) ঘটনায় ভারতে তৈরি তিনটি সিরাপ নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে ‘হু’। ওই সিরাপ তৈরি করেছে যে সংস্থা, সেই মেইডেন ফার্মাসিউটিক্যালস-এর কারখানায় সিরাপ তৈরিতে অনিয়ম হয়েছে বলে জানাল হরিয়ানা সরকার। হরিয়ানার সোনিপতে ওই সংস্থার কারখানা রয়েছে।
এক বিবৃতিতে ডব্লিউএইচও সোমবার জানিয়েছে, গাম্বিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং উজবেকিস্তানে ৩০০টিরও বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। যাদের বয়স ৫ বছরের কম ছিল। ওষুধগুলিতে উচ্চ মাত্রার ডাইথাইলিন গ্লাইকোল এবং ইথিলিন গ্লাইকোল ছিল। আরও মৃত্যু রোধ করতে তার ১৯৪টি সদস্য দেশকে পদক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়েছে। এবং ৩টি গ্লোবাল মেডিক্যাল অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
জানা গেছে, হু যে তিনটি ওষুধ নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে, সোনিপতের ওই কারখানা থেকে সিরাপের নমুনা কলকাতার সেন্ট্রাল ড্রাগ ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। এখনও তার রিপোর্ট আসেনি। সেটি হাতে এলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। তবে কেন্দ্র এবং হরিয়ানা সরকারের তরফে যৌথ তদন্তে সিরাপ তৈরিতে ১২টি অনিয়ম ধরা পড়েছে।
ওই সংস্থার তৈরি সিরাপে ডায়েথাইলিন গ্রাইকল, ইথাইলিন গ্রাইকলের মতো উপাদান অত্যধিক মাত্রায় পাওয়া গিয়েছে, যা বিষের সমান এবং তা থেকে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গাম্বিয়া পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে শিশুদের মৃত্যুতে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ারই উল্লেখ রয়েছে।