বর্ষা আসা মানেই ইলিশ মাছের তেল, ইলিশ মাছের পাতুরি, সর্ষে ইলিশ, ভাপা ইলিশ। ইলিশের সঙ্গে বাঙালির সম্পর্ক নিবিড়। আর ইলিশ যদি বাংলাদেশের হয় তাহলে তো কথাই নেই। সামনেই শুরু হচ্ছে বর্ষার মরশুম। এপারের বাঙালি এখন হাপিত্যেশ করে বসে আছে কবে আসবে পদ্মার ইলিশ। ইতিমধ্যে সেদেশের জেলেরা নৌকাও ভাসিয়েছেন। আর এর মাঝেই বাংলাদেশের পটুয়াখালীর কুয়াকাটার খাপড়াভাঙা নদীতে ধরা পড়া একটি সাড়ে তিন কেজি ওজনের ইলিশ। আর এই বিরাট ইলিশ মাছ বিক্রি হল ৮ হাজার ৫৭৫ টাকায়।
খাপড়াভাঙা নদীতে আফজাল নামে এক জেলের জালে ধরা পড়ে ওই ইলিশটি। স্থানীয় আলিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ইলিশটিকে নিয়ে আসলে তা কেনেন ফিরদৌস কাজী নামের এক ব্যবসায়ী। পরে তিনি মাছটিকে বিক্রির জন্য রাজধানী ঢাকায় পাঠিয়ে দেন। জেলে আফজাল মাঝি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘সাগরে যখন মাছ ধরি তখন প্রায়ই আড়াই থেকে তিন কেজির ইলিশ ধরা পড়ে। কিন্তু মিঠাপানিতে এত বড় সাইজের ইলিশ খুব কম দেখা যায়। এটা ভাগ্যের বিষয়।’
জানা যাচ্ছে এটিই বর্তমানে পটুয়াখালীতে বিক্রি হওয়া সবচেয়ে দামী ইলিশ। ২০২২ সালে পায়রা নদীতে সোয়া তিন কেজির একটি ইলিশ ধরা পড়ে যেটি সাড়ে ছয় হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছিল। প্রসঙ্গত বাংলাদেশে এখন সাগরে ৬৫ দিনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা চলছে। এ কারণে ইলিশ মিষ্টি জলের দিকে ছুটছে। তবে নদী মোহনাগুলিতে মাছ ধরা উন্মুক্ত থাকায় সেখানে মাছ শিকারে ব্যস্ত রয়েছেন জেলেরা। বাংলাদেশের ইলিশ গবেষক ড. আনিসুল হক সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন , এ বছর ইলিশের অভয়াশ্রমগুলোতে বেশ ভালোভাবে অবরোধ পালিত হওয়ায় নির্বিঘ্নে প্রজননসহ খোকা ইলিশ সংরক্ষণ কর্মসূচী সফল হয়েছে। এসব কারণেও ইলিশের আকার-ওজন সবকিছুই বৃদ্ধি পাচ্ছে।