বাংলাদেশের সরকারে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছিল। এরই মধ্যে পাকিস্তান থেকে ২৫,০০০ টন উচ্চমানের চিনি আমদানির জন্য একটি চুক্তি সাক্ষর করেছে বাংলাদেশ। দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী মাসে করাচি বন্দর থেকে চিনি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছবে বলে জানা যাচ্ছে।
কয়েক দশক পর দুই দেশের মধ্যে প্রথম উল্লেখযোগ্য চিনির বাণিজ্য শুরু করেছে। পাকিস্তান এই পদক্ষেপকে "ভ্রাতৃত্বসুলভ" আচরণ বলে দাবি করেছে। দুই দেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করার সুযোগ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ২ ডিসেম্বর, ২০২৪ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম প্রতি টন প্রতি ডলার ৫৩০- এর কাছাকাছি হওয়ার কারণে এই চুক্তি করে বাংলাদেশ-পাকিস্তান।
এতদিন ভারত থেকে চিনি আমদানি করত বাংলাদেশ
ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশ চিনি আমদানির জন্য ভারতের ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল। ২০২২ সালে, বাংলাদেশ ৯৭২ ডলার মিলিয়ন চিনি আমদানি করেছে, যা এটি বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম চিনি আমদানি করা হয়ে উঠেছে। BACI (ডেটাবেস ফর ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অ্যানালাইসিস) অনুসারে ভারত ছিল সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী, এই আমদানির মধ্যে ৫১২ মিলিয়ন ডলার, তারপরে ব্রাজিল ৪৫৩ মিলিয়ম ডলার, মালয়েশিয়া ৩.১১ মিলিয়ন ডলার, অস্ট্রেলিয়া ১.৬৩ মিলিয়ন ডলার এবং থাইল্যান্ডে ডলার ৮৪৯,০০০ ডাল।
সে বছর চিনি বাংলাদেশের ১৫-তম আমদানিকৃত পণ্য ছিল, যা দেশের অর্থনীতিতে এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা প্রতিফলিত করে।
(প্রতিবেদক: সুবোধ কুমার)