বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরগুলির তালিকায় নাম রয়েছে দিল্লির। পিছিয়ে নেই বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাও। বিশ্বে দূষিত শহরের তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে আছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) ঢাকার স্কোর ১৯৪ রেকর্ড করা হয়েছে। ১৫০ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোর ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। সে হিসেবে ঢাকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’।
সোমবার (১০ এপ্রিল) সকালে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ছিল ১৯৪। পাকিস্তানের লাহোর, ভারতের দিল্লি এবং থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই যথাক্রমে ২৩৮, ২৩১ এবং ২০৪ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে। একিউআই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয় এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে, সেগুলো হলো—বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)। দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণে ভুগছে ঢাকা। শহরের বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ দফতর ও বিশ্বব্যাঙ্কের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো—ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো। সুইৎজারল্যান্ডের বায়ুদূষণ পর্যবেক্ষক সংস্থা একিউএয়ারের তথ্য বলছে, জানুয়ারি মাসে একদিনের জন্যও অস্বাস্থ্যকর অবস্থা থেকে নামেনি ঢাকার বায়ু। বরং বেশ কয়েকদিনই ঢাকার বায়ুমান ছিল চরম অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে। এর ধারাবাহিকতা চলছে ফেব্রুয়ারি, মার্চ এবং এপ্রিলেও।