আরজি কর-কাণ্ডের সুবিচার চেয়ে রাস্তায় নেমেছেন চিকিৎসকরা। কর্মবিরতি পালন করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এবার বাংলাদেশেও চিকিৎসকরা কর্মবিরতির ডাক দিলেন। সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে কোনও পরিষেবা মিলবে না। রোগীমৃত্যুকে কেন্দ্র করে গণ্ডগোলের সূত্রপাত। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে ঢুকে এক চিকিৎসককে মারধর করে দুর্বৃত্তরা। আহত হন ৩ চিকিৎসক। এই ঘটনার প্রতিবাদে এবং নিরাপত্তার দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেছেন চিকিৎসকরা।
কী ঘটেছিল?
পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন বিইউবিটির পড়ুয়া আহসানুল হক দীপ্ত। তাঁকে ভর্তি করানো হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় দীপ্তর। এরপরই চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ তুলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের এক চিকিৎসককে মারধর করা হয়। চিকিৎসক এবং চিকিৎসক পড়ুয়াদের ঘেরাও করে রাখেন মৃতের আত্মীয়রা। চলে ভাঙচুরও। রবিবার দুপুরে হাসপাতালের প্রশাসনিক ব্লকের সামনে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেন নিউরো সার্জারি বিভাগের আবাসিক সার্জন আবদুল আহাদ।
এরপরই কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন চিকিৎসকরা । দাবি মানা না পর্যন্ত কর্মবিরতি চালু থাকবে। খালি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হবে। বাকি পরিষেবা আপাতত বন্ধ। চিকিৎসা পরিষেবা সচল রাখতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূর জাহান বেগম। তিনি বলেন,'চিকিৎসকদের দাবিদাওয়া যত দ্রুত সম্ভব মানা হবে'। আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের বক্তব্য, দাবি পূরণ না হলে তাঁরা কর্মবিরতি অব্যাহত রাখবেন। আবদুল আহাদ জানান, দাবি পূরণ হলেই তাঁরা কাজে ফিরবেন।
চার দফা দাবি করেছেন চিকিৎসকরা
- হাসপাতালে হামলার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করা হবে। দ্রুত বিচার করে শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।
আইনের মাধ্যমে তাদের শাস্তির আওতায় আনা।
- কর্মস্থলে ডাক্তার ও নার্সদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। দেশ সব স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
- রোগীর ভিজিটর ছাড়া বহিরাগত কাউকে কোনওভাবেই ভিতরে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। সেটা নিশ্চিত করবে স্বাস্থ্য পুলিশ।
- চিকিৎসায় অবহেলা সংক্রান্ত অভিযোগ থাকলে তা নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জানাতে হবে। কিন্তু আইন হাতে তুলে নেওয়া যাবে না। যারা সেটা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।