দুর্গাপুজোর প্রাক্কালে বাংলাদেশের অন্তর্বতী সরকারকে বার্তা আমেরিকার। সেখানে বসবাসকারী সংখ্যালঘু হিন্দুদের অধিকার যেন রক্ষা করা হয়। তাদের উপর যেন অত্যাচার নেমে না আসে, সেই বার্তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফে দেওয়া হল মহম্মদ ইউনুসের সরকারকে।
আজ পঞ্চমী। পুজোর ঢাকে কাঠি পড়েছে। গোটা পৃথিবীর হিন্দুরা এই পুজোয় অংশ নেবেন। অথচ বাংলাদেশের হিন্দুরা আতঙ্কিত। কারণ, পুজো নিয়ে একাধিক ফতোয়া বিভিন্ন মৌলবাদী সংগঠনের তরফে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। খোলা নদীতে প্রতিমা বিসর্জন করা যাবে না- এমন ফতোয়াও দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মৌলবাদীদের তরফে। এই আবহে বাংলাদেশের হিন্দুদের পক্ষে সওয়াল করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
অগাস্ট মাসের প্রথম দিকে কোটা বিরোধী আন্দোলনের পর, বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে আসেন হাসিনা। সেই থেকে সেদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার বেড়েছে বলে অভিযোগ। তা নিয়ে পথেও নেমেছেন সেই দেশের হিন্দুরা। আবার পুজোর সময় বাংলাদেশে হিন্দুদের মন্দিরে আক্রমণ চালানোর মতো ঘটনা অতীতে ঘটেছে। শেখ হাসিনার আমলেও একই ঘটনার সাক্ষী থেকেছে বিশ্ব।
আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার তাঁর দৈনিক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বলেন, 'বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা আমরা দেখতে চাই। গোটা বিশ্বের সবদেশে তা প্রতিষ্ঠিত হোক।'
বাংলাদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও হিন্দুদের অধিকার রক্ষা যাতে সুনিশ্চিত করা হয়, সেজন্য প্রয়োজনীয় বার্তা দিয়েছে ভারতও। সম্প্রতি রাষ্ট্রসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামি লিগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর বিক্ষোভের সময় হিন্দুসহ ৬০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।