জানুয়ারিতে প্রতিবেশী বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন। এখন সাজো সাজো রব দেশটিতে। সুষ্ঠু ও অবাধ ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার লক্ষ্যে বড় পদক্ষেপ করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। বাংলাদেশের সমস্ত থানার ওসি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের বদলি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে। যে সমস্ত ওসি একটি থানায় ছমাস বা তার বেশি সময় রয়েছেন, তাঁদের প্রথমে বদলি করার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বা ইউএনওদের ক্ষেত্রে যাঁরা উপজেলায় এক বছরের বেশি সময় কাজ করেছেন তাঁদের অন্য জেলায় বদলি করা হচ্ছে। ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে কমিশনকে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশেপ স্বরাষ্ট্রসচিবকে। প্রথম দফায় ২০৭ ইউএনও ও ৩২৬ ওসিকে বদলি করা হবে।
এদিকে ঢাকায় ১০ ডিসেম্বর আওয়ামী লিগকে সমাবেশের অনুমতি দেয়নি নির্বাচন কমিশন। রাজধানী ডাকার জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ ফটকে ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করতে চেয়েছিল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লিগ। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লিগের দফতরের সম্পাদক মো. রিয়াজ উদ্দিন জানিয়েছেন, তাঁরা এই সমাবেশ করার অনুমতি পাননি, নির্বাচন কমিশন অনুমতি দেয়নি।
আসন সমঝোতা নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লিগের প্রতি খুশি নয় ১৪-দলীয় জোটের শরিকেরা। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর এখন আসন বণ্টন নিয়ে আওয়ামী লিগের পক্ষে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করেছেন জোটের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু। আসন সমঝোতা নিয়ে ১৪ দলের জোটের শরিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন আওয়ামী লিগ প্রধান তথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। সোমবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ বৈঠক হয়। বৈঠকে আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে ১৪ দলের জোটের শরিকদের কোন আসন ছেড়ে দেওয়া হবে তা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা হয়। যদিও দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে আসন ভাগাভাগি নিয়ে জোট সঙ্গীদের আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। আপাতত মহাজোটের নেতাদের মাঠে থাকতে বলেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লিগ। সোমবার সন্ধ্যায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ১৪ দলের নেতাদের একটি বৈঠকে এই বার্তা দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আগের তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসন ভাগাভাগি করে ভোটে অংশ নিয়েছিল আওয়ামী লিগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের জোট। গত নির্বাচনেও আওয়ামী লিগ ও শরিক দলগুলো প্রথমে আলাদা প্রার্থী দিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ১৬টি আসনে শরিকদের ছাড় দেয় ক্ষমতাসীন দল। আওয়ামী লিগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থীদের মধ্যে যারা যোগ্য, তাদের আওয়ামী লিগের পক্ষ থেকে ছাড় দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লিগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতু এবং সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, "১৪ দলের পক্ষ থেকে কিছু আসন দাবি করতে পারে। যারা বিজয়ী হতে পারে তাদের মনোনয়ন দিতে আপত্তি নেই আওয়ামী লিগের।" এছাড়াও আওয়ামী লিগের মনোনীত যেসব প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে, তারা চাইলে আপিল করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আওয়ামী লিগ কোনো হস্তক্ষেপ করবে না বলে উল্লেখ করেন তিনি।