scorecardresearch
 

Bangladesh Election: বিক্ষোভেই BNP, এবারও একচেটিয়া লড়াইয়ে হাসিনার দল? ভোটমুখী বাংলাদেশে পরিস্থিতি জটিল

বাংলাদেশে ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে বলে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের দিন স্থির করা হয়েছে। নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ করতে সাড়ে সাত লাখ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করছে নির্বাচন কমিশন ।

Advertisement
Bangladesh Election Bangladesh Election

বাংলাদেশে ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে।  দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে বলে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের দিন স্থির করা হয়েছে।  নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ করতে সাড়ে সাত লাখ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করছে নির্বাচন কমিশন । তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ৪৭ হাজার সদস্য মাঠে নামবেন নির্বাচনের ১০ দিন আগেই। গত সোমবার ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, বিজিবি সবার আগে মাঠে নামবে। ভোটের পরে দুই দিন, ভোটের দিন এবং ভোটের আগে ১০ দিন, মোট ১৩ দিনের জন্য এ বাহিনীর সদস্যরা মাঠে থাকবেন। তবে প্রয়োজন হলে আরও বেশি দিন তাদের রাখা হতে পারে। 

ভোটের দিন ঘোষনার পরেই রবিবার শাসক আওয়ামী লিগ প্রার্থী তালিকা প্রকাশের করে। এরপর  সোমবার ৩০০-র মধ্যে ২৮৭টি আসনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে  সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টিও। কিন্তু ভোট বাতিল ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইস্তফা দাবি করে অবরোধ-হরতালের পথেই রয়েছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। বুধবার সড়ক, রেল ও জলপথে অবরোধ এবং বৃহস্পতিবার সারা দিন বনধের ডাক দিয়েছে বিএনপি। তার পরেও নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, বিএনপি ভোটে অংশ নিতে চাইলে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ৩০ নভেম্বর থেকে বাড়ানোর কথা ভাববে তারা। 

আরও পড়ুন

বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হতে চলা আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লিগ ২৯৮ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। কিন্তু দলটির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় ১৪ দলের জোটের শরিক দলগুলোর জন্য  কোনো আসন রাখা হয়নি। এতে হতাশ হয়ে পড়েছেন শরিক দলগুলোর নেতারা। ফলে আওয়ামী লিগের কাছ থেকে কোনো আসন না পেয়ে অনেকটাই চুপসে গেছে ১৪ দলীয় জোটের শরিকরা। শরিক দলগুলো এখন ১৫-২০টি আসন পেলেই খুশি বলে জানিয়েছেন নেতারা।  ফলে শরিকেরা আওয়ামী লিগের নৌকা প্রতীক পাবে কীনা, এই অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।  আওয়ামী লিগের দলীয় সূত্র বলছে, অনানুষ্ঠানিকভাবে ১৪ দলের শরিকদের বার্তা দেওয়া হয়েছে যে তাদের সম্ভাব্য প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে হবে। এরপর সমঝোতার বিষয়ে আলোচনা হবে। কিন্তু শরিকেরা আগে সমঝোতার বিষয়ে জোর দিচ্ছে। এরই মধ্যে কিছু শরিক দলের নেতা নির্বাচন কমিশনে মনোনয়নপত্র জমা দিচ্ছেন। কেউ কেউ সমঝোতার আশ্বাস পেলে জমা দেবেন বলে অপেক্ষায় আছেন। 

Advertisement

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত রবিবার  গণভবনে  দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের উদ্দেশে দুটি বার্তা দিয়েছিলেন। প্রথমত, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতা যাবে না। দ্বিতীয়ত, স্বতন্ত্র প্রার্থীকে চাপ দেওয়া যাবে না। এরপর সোমবার আওয়ামী লিগের মনোনয়নবঞ্চিত নেতাদের অনেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা করেছেন।  এদিকে জোটগতভাবে নির্বাচনের প্রশ্নে আওয়ামী লিগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ‘আওয়ামী লিগের সঙ্গী খোঁজার কোনো দরকার নেই। নতুন নতুন সময়ে নতুন নতুন কৌশলও দলকে গ্রহণ করতে হয়। এ সময়ে যে কৌশল দরকার, নেত্রী সে কৌশল ঠিক করেছেন।’ ১৪ দলের শরিক ও আওয়ামী লিগের মিত্রদের সূত্র বলছে, আওয়ামী লিগের সঙ্গে সমঝোতা ছাড়া জাপার প্রার্থীদের জেতা কঠিন। ১৪ দলের শরিকেরা নৌকা প্রতীক না পেলে জিততে পারবেন না। কেউ কেউ মনে করছেন, আগের চেয়ে কম আসনে শরিকদের সন্তুষ্ট রাখতে কৌশলী চাপ দিচ্ছে আওয়ামী লিগ।

Advertisement